Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ওয়ান ইলেভেনের সরাসরি বেনিফিশিয়ারি শেখ হাসিনা’

স্পেশাল করেসপন্ডেট
১৩ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৪৭

ঢাকা: বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়ান ইলেভেনের সরাসরি বেনিফিশিয়ারি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘দুই দিন আগে ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়ংকর কালো দিবসের ১৫ বছরপূর্তি। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের সমস্ত কিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল। গণতন্ত্র হত্যা ও মানুষের অধিকার হরণ করে দেশকে নিক্ষেপ করেছিল অন্ধকার গহ্বরে। দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করার জন্য দীর্ঘ দিনের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিল মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার।’

তিনি বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের মূল লক্ষ্য ছিল দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে র্নিমূল করা। দুই বছর দেশকে ছিন্নভিন্ন করে ১/১১ এর বেআইনী সরকার পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙ্গে দিয়ে একটি পাতানো ভূয়া নির্বাচনের মাধ্যমে তাদেরই বশংবদ আরেক দুর্বৃত্ত লুটেরা গোষ্ঠী-আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে গেছে। ওয়ান ইলেভেন ষড়যন্ত্রের সরাসরি বেনিফিশিয়ারি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বহুসংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করা হয়। সে সময় বিরাজনীতিকরণের যে তান্ডব চালানো হয়, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তার পরিবার।’

রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্পষ্ট করেই বলেছিলেন- ‘ওয়ান ইলেভেন’ তাদের আন্দোলনের ফসল। তবে সময়ের পরিক্রমায় জনগণের কাছে আজ এটি স্পষ্ট যে, কথিত ‘ওয়ান ইলেভেন’ ছিল মূলত বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার একটি সুগভীর চক্রান্ত।’

‘তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে সম্পূর্ণভাবে দলবিহীন, ভোটারবিহীন বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখলে রাখে। অতঃপর ২০১৮ সালে বিশ্বে ভোট ডাকাতির অভিনব ইতিহাস রচনা করে এই অপশক্তিটি। রাতের অন্ধকারে ভোটের বাক্স ভরে ‘নিশিরাতের ভোট ডাকাত’ হিসাবে সারা পৃথিবীতে নিজেদের কলংকিত পরিচিতি তৈরি করেছে’- বলেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘গত এক যুগের বেশি সময় ধরে এই আওয়ামী দস্যুরা ওয়ান-ইলেভেনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এদেশের মানুষের কাঙ্খিত গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। বিনা নির্বাচনে পার্লামেন্ট, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। মানবাধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ভূলুণ্ঠিত করেছে। দেশকে গুম, খুন, অপহরণ, বন্দুকযুদ্ধ, অবিচার, অনাচার, লুটপাট, টাকাপাচার, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অন্ধকার রাজত্বে ডুবিয়ে রেখেছে।’

রিজভী বলেন, ‘বাস্তবে তথাকথিত ওয়ান ইলেভেনের পর পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ, জনগণ হারিয়েছে বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার। কথিত ওয়ান ইলেভেনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’

সারাবাংলা/এজেড/একেএম

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সালমান শাহ্‌ স্মরণে মিলাদ মাহফিল
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩

নাফ নদীর মোহনায় ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৯

সম্পর্কিত খবর