ফখরুল-রাহাত দম্পত্তির জন্য বিএনপির দোয়া মাহফিল
১৩ জানুয়ারি ২০২২ ২০:২২
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের করোনামুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এ দোয়া-মাহফিল আয়োজন করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থয়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
দোয়া মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে পার্টির মহাসচিব অসুস্থ হওয়াটা আমাদের জন্য খুব কষ্টদায়ক এবং চিন্তার বিষয়। কারণ, চলমান আন্দোলন বাস্তবায়নে মহাসচিবসহ দলের সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে সচেষ্ট। করোনা এমন একটা রোগ আপনজনও পর হয়ে যায়। সে কারণে তার সুস্থতার জন্য অবশ্যই আমরা কামনা করব।’
‘পাশাপাশি আরেকটি জিনিস- এই যে করোনা, এই করোনা কোন অবস্থাতে আছে? এই সংক্রমণটা কি ভয়াবহ, এটা কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, না এটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে? কারণ, সরকার এর করোনা নিয়ে অনেক ছলনা করেছে। যখন অতিরিক্ত তখন বলে কম, যখন কম তখন বলে অতিরিক্ত। আমরা অনুমান করছি, দেশের মানুষও বিশ্বাস করছে এ সরকার করোনা নিয়েও এক ধরনের রাজনীতি করছে। শুধু তাই না, দুর্নীতিতে তো দেশ এমনিতেই শেষ। এই করোনা নিয়ে দুই বছর যে দুর্নীতি করছে, অর্থাৎ রোগীদের সাথেও প্রতারণা করছে। পজিটিভ, নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েও টালবাহানা করছে’- বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের আন্দোলন ঊর্ধ্বমুখী। সারা দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাস্তায় নামছে। ঠিক সেই মুহূর্তে সরকার একটা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে- সব খোলা থাকবে, দোকান-পাঠ খোলা থাকবে, বাজার-হাট খোলা থাকবে, বাণিজ্য মেলার বাণিজ্যও হবে, মুজিব বর্ষের মুজিব বর্ষও হবে। খালি কী? কথার মারপ্যাঁচ, ‘সমাবেশ’- এই জাতীয় কর্মকাণ্ড করা যাবে না। সুতরাং এই প্রজ্ঞাপনের জালে বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করার প্রচেষ্টা কিনা, সেটা দেখতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে মারামারি, হানাহানি হলো, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনও চলছে। সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন তার কার্যক্রম বন্ধ করে নি। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যা যা বিধি-নিষেধ আছে তাতে এই নির্বাচনের কেত্রেও প্রযোজ্য তো? কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি। এ জন্য সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমাদের কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।’
মিলাদ মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম জাহাঙ্গীর, আকরামুল হাসান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/একে