করোনা আতঙ্কে পর্যটক কমেছে সুন্দরবনে
১৪ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৪৩
বাগেরহাট: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে উদ্বেগ ও আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনের পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল পেশাজীবীরা। তারা বলছেন, নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞার কারণে আবারও ভেঙে পড়বে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প।
টুরিস্ট বোট ব্যবসায়ী তালুকদার আব্দুল কাদের বলেন, এখানে ৩ হাজার টুরিস্ট বোট ব্যবসায়ী দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনা নেওয়ার কাজে জড়িত। করোনা মহামারির কারণে আবারও পর্যটক আসা কমে গেছে। এতে এই পেশার লোকজন আবারও অভাব অনটনের মধ্যে পড়বে। আমরা যেন একেবারে বেকার হয়ে না পড়ি তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
মোংলার একটি নামকরা আবাসিক হোটেল সিঙ্গাপুরের মালিক তালুকদার আখতার ফারুক বলেন, হোটেল ব্যবসা মূলত পর্যটক নির্ভর। আমরা ৪ মাসের ব্যবসা দিয়ে পুরো বছর চলি। এবারও দেখছি করোনার আতঙ্কে আগে থেকেই লোকজন আসা কমে গেছে। যা এই ব্যবসার জন্য অশনি সংকেত।
সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সুন্দরবনে লোকজন আসা কমে গেছে। বর্তমানে প্রতিদিন থেকে ৩শ পর্যটক আসছে। অন্যান্য বছর একই সময় ৩ থেকে ৪ হাজার লোক সুন্দরবনে বেড়াতে আসতো।
সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরা যাতে বেকার হয়ে না যায়, তার জন্য তাদের প্রণোদন দেওয়া উচিত। এই পেশার লোকজন বেকার হয়ে গেলে পর্যটন শিল্পের ওপর প্রভাব পড়বে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার জানান, মন্ত্রী পরিষদ সকল ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এই আদেশ সকলকে মানতে হবে। তবে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে তার মন্ত্রণালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলে জানান তিনি।
সারাবাংলা/এএম