ঢাকা: যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় আরও দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে মামলার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর এবং দি ওয়েস্টিন হোটেলের হাউজকিপিং সুপার ভাইজার মো. জসীম উদ্দিন সাক্ষ্য দেন।
তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।
মামলাটিতে ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে তিন সাক্ষ্য শেষ হলো।
গত ৩০ নভেম্বর একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থার উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, গত বছররে ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্ট (খাবার), রেস্টুরেন্ট (মদ), স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া।
ওই সময়ে ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। এভাবে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়, যা আয়ের উৎসের স্বপক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ায় পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে দুদক আইন মামলাটি দায়ের করা হয়।
চলতি বছরের মার্চ মাসে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন শাহীন আরা মমতাজ।
এরপর গত ৬ অক্টোবর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করে বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে বদলির নির্দেশ দেন।