মন্ত্রিসভায় বৈষম্যবিরোধী আইনের খসড়ার অনুমোদন
১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:৫১
ঢাকা: মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে বৈষম্যবিরোধী আইন, ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ আইনে বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অনেকগুলো আন্তর্জাতিক কনভেনশনের মাধ্যমে বিশ্বে সব রকমের বৈষম্য নিরসন করা হয়েছে। এই আইনে বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইনের আলোকে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে যেমন- জাতীয়, বিভাগীয় ও জেলা বা যে পর্যায় পর্যন্ত সরকার চায়। সেই পর্যায় পর্যন্ত কোনো প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কি না তা দেখবে এই কমিটি। এখানে একজন সভাপতি থাকবেন। আইনমন্ত্রী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন এবং লেজিসলেটিং বিভাগের একজন যুগ্মসচিব তার সদস্য সচিব হবেন। এভাবে নিচের দিকে যতগুলো প্রশাসনিক ইউনিট রয়েছ, সেগুলো সরকার যে রকম প্রয়োজন মনে করবে সে রকম কমিটি করে দেবে। এছাড়াও প্রয়োজনে সভাপতি সময় নির্দিষ্ট করে মনিটরিং মিটিং করবেন।
বৈষম্যবিরোধী একটা সেল গঠন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে সেল বৈষম্যবিরোধী কার্যাবলী প্রতিরোধ এবং তাৎক্ষণিক প্রতিকার প্রদানের জন্য বৈষম্যবিরোধী জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা কমিটিসহ অন্যান্য কমিটি গঠন করবে। তারা জনগণের মধ্যে একটা সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যে কোনোভাবেই কোনো রকমের বৈষম্য করা যাবে না।
তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ দায়ের হলে ৩০ দিনের মধ্যে জেলা কমিটি ঘটনা তদন্ত করবে। জেলা কমিটি প্রতিকার প্রদানে ব্যর্থ হলে অভিযোগকারী বিভাগীয় কমিটির কাছে অভিযোগ দায়েরের ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত করবে। বিভাগীয় কমিটি ব্যর্থ হলে ৪৫ দিন পরে জাতীয় কমিটি তদন্ত করে অ্যাকশন নেবে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করলে ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিস্পত্তি করতে হবে। যদি ৯০ দিনের মধ্যে না পারে তাহলে সর্বোচ্চ ১৫ দিন বৃদ্ধি করে তা শেষ করে দিতে হবে।
সারাবাংলা/জিএস/এনএস