১২ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি
১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:১৮
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ চলছে। এরইমধ্যে দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে ১২ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয় নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিদ্ধান্ত দিলে সে অনুযায়ী কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের ওমিক্রন ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাতে আমরা কিছুটা হলেও চিন্তিত ও আতঙ্কিত। আমরা চাই না, সংক্রমণ এভাবে বৃদ্ধি পাক।’
তিনি বলেন, ‘১২ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমরা এখনও নিইনি। কারণ, এখনও ডব্লিউএইচও আমাদের সেই সিদ্ধান্তটি দেয়নি। সিদ্ধান্ত পেলে সে অনুযায়ী কাজ করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুরা সশরীরে স্কুলে আসতে পারে এবং ভার্চুয়ালিও ক্লাস করতে পারে, দুটি অপশনই রয়েছে। তবে সেটা অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে। এই সিদ্ধান্ত আমরা দিতে পারি না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়টা বলতে পারবে। আমাদের কাছে কোনোরকম পরামর্শ চাইলে আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করব।’
বহির্বিশ্বে কীভাবে এটি দেখা হচ্ছে, কীভাবে এটি নিয়ে কাজ করছে, তার ওপর ভিত্তি করে পরামর্শ দিতে পারবো— যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১ কোটি ৭ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, এটা একটা বিরাট ফিগার। অনেক দেশের পপুলেশনও এতো নেই। কোনোরকম সমস্যা হলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আমরা চাই, ছেলেমেয়েরা ভ্যাকসিন নিক, সবাই নিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু সুরক্ষা অ্যাপসের ওপরই নির্ভরশীল না। আমরা বলেছি, বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন, কোনো পত্র না আনলেও ভ্যাকসিন দিয়ে দেবো। দরকার হলে আমরা একটা কার্ড ফিলাপ করে দেবো। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা আছে, তাদের লিস্ট অনুযায়ী আমরা ভ্যাকসিন দিচ্ছি।’
সারাবাংলা/এসবি/একে