আন্দোলনে ইন্ধন দেখছেন ভিসি, অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলেন শিক্ষার্থীরা
১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:৫০
সিলেট: ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, দুপুরে শিক্ষার্থীরা ভিসিকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আর উদ্ভূত পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে ভিসি বলেছেন; বহিরাগতদের ইন্ধনে এসব হচ্ছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় আন্দোলন করছিলো ওই হলের ছাত্রীরা। রোববার ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি হলে ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েক জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দ্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলো প্রশাসন। কিন্তু পুলিশি হামলার অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। দুপুরে তারা ভিসিকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৮ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও শিক্ষার্থীরা ওই তদন্ত কমিটি মানছেন না। ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন,বহিরাগতদের ইন্ধনে ক্যাম্পাসে এসব হচ্ছে। এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন।
আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ দেবে শাবিপ্রবি প্রশাসন
এদিকে, দাবি না মানা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করবে বলে জানিয়েছে। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করার কারণে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ করছেন বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের ছাত্রীরা। আন্দোলনের তৃতীয় দিন রোববার বিকেল ৩টার দিকে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে এম ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকা হয়।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ ভিসিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে গেলে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশ-শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও রাবার বুলেটের গুলিতে অন্তত ৩০জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ভিসিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পর উপাচার্যের পাশাপাশি প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/এমও
পদত্যাগের দাবি বিক্ষোভ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়