স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে প্রশাসনের সাহায্য চাইলেন স্বাস্থ্যের ডিজি
১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:১০
ঢাকা: দেশে সাম্প্রতিক সময়ে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের হার। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মাঝেও দেশে চলছে বাণিজ্যমেলা ও নারায়ণগঞ্জসহ বেশকিছু স্থানে নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেটি মানা হচ্ছেন না। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি কমিটি সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা পরামর্শ দিতে পারি। তবে সেটিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সব জায়গাতেই আমরা সে বিষয়ে অনুরোধ করেছি। প্রশাসনকেও বলেছি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য যেন দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বইমেলা বিষয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলাম পেছানোর জন্য। সেটি করা হয়েছে। যারা বইমেলার সঙ্গে যুক্ত তাদের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে অধ্যাপক ডা. খুরশীদ বলেন, ‘আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক বিধি মেনে চলতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাকসিন নিতে হবে।’
ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘শুধু পরীক্ষা ও শনাক্ত করলেই চলবে না। রাজধানীসহ সারাদেশে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বহু মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করছে। এতে করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যাদের এনআইডি বা জন্মসনদ নেই তারাও কেন্দ্রে এসে কাগজে নাম লিখে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। তাদের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীদের টিকাদান চলছে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই এমন ১২-১৭ বছর বয়সীদের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খুঁজে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।’
এ সময় সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করার অনুরোধ জানান অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
সারাবাংলা/এসবি/একে