ডা. পদবি নিয়ে দেওয়া নির্দেশনা প্রত্যাহার চান হোমিও চিকিৎসকরা

ঢাকা: দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা নামের আগে ডা. লিখতে পারবেন না— স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমন নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার স্বার্থ সংরক্ষণ জাতীয় কমিটি।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক সম্প্রতি বিএমডিসির আইন ২০১০-এর বরাতে চিঠি দিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের নামের আগে ডা. পদবি ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছেন। এটি সঠিক নয়। এটি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।

তারা বলেন, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি প্র্যাকটিশনার্স অধ্যাদেশ ১৯৮৩, মাদক আইন ২০১৮, ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ (২৩/২)-সহ সরকারের বিভিন্ন সময়ে জারি করা আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা তাদের নিজ নিজ নামের আগে ডা. পদবি ব্যবহারের অধিকার রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় থেকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের গ্রহণযোগ্যতা উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড গঠন করেন এবং হোমিওপ্যাথি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবকাঠামো উন্নয়নে সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. দীলিপ কুমার রায়সহ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, বর্তমানে দেশে ৬৫টি বেসরকারি ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং একটি সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সরকার স্বীকৃত ও অনুমোদিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস) নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৫০০ এবং ডিএইচএমএস নিবন্ধিত চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালে আশা ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ বিভাগের এক মাঠ জরিপে দেখা যায়, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নেন। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের সরকারি হাসপাতালে চাকরিসহ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জারি করা ওই নির্দেশনা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নেতারা।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

বিএমডিসির আইন হোমিওপ্যাথি