ঢাকা: চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর তার স্বামী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)। তাদের কাছ থেকে একটি রক্তমাখা প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের নিয়ে অভিযানে রয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বলেন, শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করার পর র্যাব তাদের নিয়ে গেছে। র্যাব-পুলিশ মিলে অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
র্যাব সূত্র বলছে, গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে র্যাবের কাছে তিনি কিছু তথ্য দেন। তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এখন অভিযান চলছে। স্বামী নোবেলের প্রাইভেটকারের ব্যাকডালায় রক্ত দেখা গেছে। প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় শিমুর বোন মনিশা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পর দিন সোমবার কেরানীগঞ্জ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম সারাবাংলাকে বলেন, লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় ছিল। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি।
নিহত শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন রাতে সাংবাদিকদের জানান, তার বোনজামাই নোবেল প্রায়ই শিমুকে মারধর করতেন। তিনি একজন মাদকাসক্ত।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তার লাশ রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড) মর্গে রাখা হয়েছে। মর্গে শিমুর স্বামী ও গাড়িচালক ফরহাদ গেলে সোমবার তাদের আটক করে র্যাব।
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক অভিনেত্রী শিমুর। এরপর দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কিছু পরিচালকের প্রায় ২৫টির মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও অমিত হাসানসহ বেশ কিছু তারকার সঙ্গে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় ও প্রযোজনায় করেছেন শিমু। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য ছিলেন।