Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কমিশন গঠনে যে খসড়া অনুমোদন হয়েছে তা ‘পঁচা কদু’: বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:২১

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন গঠনে মন্ত্রিসভায় যে আইনের খসড়া অনুমোদন হয়েছে তা ‘পর্বতের মূষিক প্রসব’ বা একটি ‘পঁচা কদু’ হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “অনুগত ও অপদার্থ নির্বাচন কমিশন গঠনের চলমান প্রক্রিয়াকে দলীয় স্বার্থে আইনি রূপ দেওয়ার সরকারি অপপ্রয়াসের ফলাফল হবে ‘যেই লাউ, সেই কদু’। এবার সম্ভবত হতে যাচ্ছে একটি পঁচা কদু। এতদিন ধরে যেটা প্রশাসনিক কায়দায় হয়েছে এখন সেটা আইনি কায়দায় হবে। আমরা ওইজন্য বলেছি যে, ‘যেই লাউ, সেই কদু’।”

বিজ্ঞাপন

‘পঁচা কদু’র কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “পঁচা কদু এজন্য বলছি যে খসড়া আইন আরেক প্রস্তাব করা হয়েছে যে, সরকারি চাকুরির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ছাড়া কেউ এটার সদস্য হতে পারবেন না। অর্থাৎ সিভিল সোসাইটির কেউ অথবা কোনো শিক্ষাবিদ, কোনো আইনজ্ঞ তারা কেউ সদস্য হতে পারবেন না। দুনিয়ার কোথায় এরকম বিধি-নিষেধ আছে।”

খসড়া আইনের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিনা ভোটের অনির্বাচিত একটি অবৈধ সরকারের নিকট থেকে জনগণ এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে না বলে তারা মনে করে যে, একটি নিরপেক্ষ, স্বাধীন যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের নৈতিক যোগ্যতা ও সামর্থ্য আছে শুধু একটি নির্বাচিত সরকারের।”

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। চলতি অধিবেশনে আগামী রোববার বিলটি পাসের জন্য সংসদে উস্থাপন করবেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বিজ্ঞাপন

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। গত সোমবার রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। এতে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন কমিশন গঠনে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত খসড়া আইন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা তো এই সরকারের এবং এই সরকারি প্রশাসনের অধিনে নির্বাচন করতে রাজি না। আমরা এটা বলে দিয়েছি যে, এই সরকার যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না তারা গণবিরোধী এবং তাদের সাজানো যে প্রশাসন তার অধীনে কোনো নির্বাচনে আমরা যাবো না। আর তাদের করা যে নির্বাচন কমিশন অযোগ্য, অপদার্থ হিসেবে সারা দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত তাদের অধিনে তো আমরা নেই।’

‘আর তারা এবার যেটা করতে যাচ্ছে এটা আলটিমেটলি একই জিনিস দাঁড়াবে। কাজেই এই সরকার, এই সরকারি প্রশাসন, এবং এই সরকার কর্তৃক কোনো নির্বাচন কমিশনের অধীনে আমাদের নির্বাচনে যাওয়ার কথা তো পরে.., জনগণ নির্বাচন করতে দেয় কিনা সেটা দেখা যাবে’, বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য।

এসময় ‘রাষ্ট্রপতির সংলাপও অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখলাম সেটা হলো, একদিক থেকে রাষ্ট্রপতিও কোনো ক্ষমতা নাই, যারা গেছেন তাদেরও কোনো ক্ষমতা নাই। এই সংলাপ অর্থহীন এটা ইতিহাস প্রমাণ করে। এই সংলাপে কোনো কিছুই অর্জিত হয় নাই বরং ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।’

সারাবাংলা/এজেড/এমও

কমিশন গঠন খসড়া অনুমোদন বিএনপি

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর