রাশিয়ার সঙ্গে অচলাবস্থার মধ্যে সম্ভাব্য আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষায় ইউক্রেনকে ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহ শুরু করেছে ব্রিটেন।
এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে প্রচুর রুশ সেনা জড়ো করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেনে নতুন করে হামলা চালানোর অজুহাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে, পশ্চিমা দেশগুলো এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
এর আগে, ২০১৪ সালে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু, এ ধরনের হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটি বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী দাবি পূরণ না হলে তারা অনির্ধারিত সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে এমন প্রতিশ্রুতি চাইছে রাশিয়া; পূর্ব ইউরোপ থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক এ জোটকেও পিছু হটতে বলছে তারা। এ নিয়ে গত সপ্তাহে আলোচনা কোনো ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে তাদের আত্মরক্ষায় অস্ত্র চেয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেন ওয়ালেস পার্লামেন্টকে বলেন, ইউক্রেনকে সাঁজোয়া যান ও ট্যাঙ্কবিরোধী হালকা প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
মন্ত্রী জানান, সোমবার প্রথম ধাপের অস্ত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অল্প সংখ্যক ব্রিটিশ সেনা ইউক্রেনে স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণও দেবে।
তিনি বলেন, এগুলো কৌশলগত কোনো অস্ত্র নয় এবং রাশিয়ার জন্য কোনো হুমকিও তৈরি করবে না। এগুলো শুধু আত্মরক্ষার কাজে ব্যবহারের জন্য।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ব্রিটেনের অ্যান্টি-আর্মার, প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র ব্যবস্থাসহ একটি নতুন নিরাপত্তা প্যাকেজ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ইউক্রেন স্বাগত জানায়!
পাশাপাশি, ওয়ালেস রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্জেই শইগুকে লন্ডন সফরের আহ্বান জানান। তবে রাশিয়া তা গ্রহণ করবে কী না তা নিশ্চিত নন তিনি। ওয়ালেস বলেন, সাম্প্রতিক সমস্যার পরিধিটা একটু বিস্তৃত হলেও তা সমাধানযোগ্য।