Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাসুদ রানা’র স্রষ্টা কাজীদা আর নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:৫৩

ঢাকা: বাংলা অনুবাদ সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে আনোয়ার হোসেনের। মাঝে পাঁচ দফা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ব্রেন স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে লাইফসাপোর্টে ছিলেন তিনি।

জনপ্রিয় বাংলা থ্রিলার চরিত্র মাসুদ রানার স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন ১৯৩৬ সালের ১৯ জুলাই ঢাকায় জন্ম নেন। তার পুরো নাম কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন। ডাক নাম নবাব। তিনি প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেনের ছেলে। পরিবারের সংগীতচর্চার ধারাবাহিকতায় প্রথমে সংগীতশিল্পী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও ১৯৬৩ সালে বাবার দেওয়া টাকায় সেগুনবাগিচায় প্রেসের যাত্রা শুরু করেন। সেই প্রেস থেকেই নিজের সম্পাদনায় পেপারব্যাকে সৃষ্টি করেছেন চিরতরুণ চরিত্রগুলো।

সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে তিনি ৬০ এর দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামে একটি গুপ্তচর চরিত্রের জন্ম দেন যা কালক্রমে বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়। এছাড়াও, কুয়াশা নামে আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র তারই সৃষ্টি। কাজী আনোয়ার হোসেন ছদ্মনাম হিসেবে বিদ্যুৎ মিত্র ও শামসুদ্দীন নওয়াব নাম ব্যবহার করতেন।

মাসুদ রানা ও কুয়াশা সিরিজের ৩১০ টি বইয়ের কপিরাইট ইস্যুতে আলোচনায় এসেছিলেন কাজী আনোয়ার হোসেন। কপিরাইট অফিস থেকে ৩১০টি বইয়ের গ্রস্থস্বত্ব লেখক আবদুল হাকিমকে দিলে সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটও করেছিলেন আনোয়ার হোসেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট আইনের ৭১ ও ৮৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে দাখিল করেন শেখ আবদুল হাকিম।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি লড়াই শেষে ২০২০ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়।

এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের লেখক হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। পরে সেই রুল খারিজ হয়ে যায়। এর ফলে ৩১০টি বইয়ের গ্রন্থস্বত্ব ফিরে পান আবদুল হাকিম।

সারাবাংলা/এসবি/একেএম

কাজী আনোয়ার হোসেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর