পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্মকর্তার মামলা
১৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:৩৩
ঢাকা: রাজধানীর কোতয়ালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর রুবেল মল্লিকসহ দুই জনের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে মারধর, মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেন তিনি এ মামলাটি করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে গত মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আগামী ২৯ মার্চ আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
মামলার অপর আসামি হলেন, ভুয়া ডিবি পুলিশ খসরু রোমান।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) আদালত সূত্রে মামলার বিষয়টি জানা গেছে।
বাদীর অভিযোগে বলা হয়— ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি সাকিব হোসেন মালিবাগ সিআইডি পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার থেকে বিকেলে ভাটারা নূরের চালায় বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আমেরিকান অ্যাম্বাসির অপর পাশে দাঁড়ান। তখন পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান থেকে ২ জন লোক নামেন। খসরু রোমান নিজেকে ডিবি এসি এবং রুবেল মল্লিক এসআই পরিচয় দেন।
এরপর তারা সাকিব হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যেতে চান। সাকিব হোসেন অপরাগতা প্রকাশ করলে হাতে হাতকড়া লাগিয়ে চোখ বেঁধে তাকে জোর করে গাড়িতে তোলেন। তারা ভিকটিমকে নিয়ে গাড়িতে বিভিন্ন ঘোরেন। এরপর ভিকটিমের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন খসরু।
এসআই রুবেল খসরুকে বলেন, ‘সরকারি অফিসার টাকা নিয়ে ছেড়ে দিলে আমরা ফেঁসে যাব। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দেয়। একজন বলেন ওকে বাসায় নিয়ে যাই। বাসায় হয়ত স্বর্ণের বার আছে তা দিয়ে ডাকাতি মামলায় আটক দেখিয়ে চালান দেই।’
এসআই রুবেল বলেন ১১ জানুয়ারির একটি অজ্ঞাতনামা মামলা আছে, ওকে জড়িয়ে দেই। এরপর আসামিরা বাসার ঠিকানা জেনে সাকিবকে তার বোনের বাসায় নিয়ে আসে।
এজাহারে আরও বলা হয়— আসামিরা সাকিবের বোনের বাসায় ঢোকেন। তারপর এসআই খসরু মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সাকিবের ব্যাগের মধ্যে স্বর্ণের বার রেখে আসেন। পরবর্তী সময়ে আসামিরা ভিকটিমকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে আদালতে পাঠিয়ে তাকে মারপিট করে জখম করেন এবং ভয়-ভীতি প্রদান করেন।
সারাবাংলা/এআই/একে