আবরার হত্যা: ৩ সাক্ষীর জবানবন্দি পাল্টে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অভিযোগ
১৯ জানুয়ারি ২০২২ ২২:৫৮
ঢাকা: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা মামলায় তিন সাক্ষীর জবানবন্দি পাল্টে মোর্শেদ আমর্ত্য ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রবিউল ইসলাম।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতি এবং আইন সচিব বরাবর ডাকযোগে বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বরারবর চিঠি দিবেন বলে জানান রবিউল ইসলাম।
রবিউল ইসলামের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আবরার হত্যা মামলার ২২ নম্বর সাক্ষী মো. গালিব, ২৭ নম্বর সাক্ষী ওয়াহিদুর রহমান ও ২৮ নম্বর সাক্ষী মো. সাইফুল ইসলাম কোনো ধরনের ইনক্রিমিনেটিং এভিডেন্স তাদের সাক্ষ্যে না বললেও ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক তার ব্যক্তিগত স্বার্থে বিচারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসত্যভাবে ইনক্রিমিনেটিং এভিডেন্স এ সাক্ষীদের নাম রায়ে প্রতিস্থাপন করে মোর্শেদ অমর্ত্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন। যা অত্র বিচারকের দেয়া রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এছাড়াও তার ছেলে পিংকুর প্রতি অবিচার ও অন্যায় করা হয়েছে।
আবেদনের আরও উল্লেখ করা হয়— রায়ের পর প্রকাশিত জাবেদা নকলের সহিত সাক্ষী চলাকালীন সময়ে প্রদত্ত জাবেদা নকলের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। আর তাছাড়া এই তিন জন সাক্ষী কোনোভাবে জবানবন্দিতে বা জেরার সময় নিজেদেরকে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে দাবি করেননি। অথচ রায়ের পরবর্তীতে পূর্বের তোলা জাবেদা নকলের সহিত পরবর্তীতে উত্তোলন করা জাবেদা নকল মিলিয়ে দেখা যায় উল্লেখিত তিন জন সাক্ষীকে প্রত্যক্ষদর্শী বা দেখা সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার রায় প্রচার হওয়ার পুর্বের এবং পরে প্রদত্ত উল্লেখ্য তিন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরার জবেদা নকলের কপি আমার নিকট রয়েছে। আমরা পৃথক সময়ে উত্তোলনকৃত উভয় জবেদা নকলের কপি মিলিয়ে দেখে অবাক হয়েছি।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন যে, এই যদি হয় ট্রাইব্যুনালের একজন সিনিয়র জজের অবস্থা, তাহলে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেব। একজন মেধাবী ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিতে তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা পরিবর্তন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত।
সারাবাংলা/এআই/একে