Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এইডসে আক্রান্ত নারীর সন্তান ধারণে ঝুঁকি বেশি

সারাবাংলা ডেস্ক
২০ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:৪৭

অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রতীকী ছবি [উৎস: পিক্সাবে]

ঢাকা: দুই সন্তান নিয়ে সুখেই ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী আয়েশা (ছদ্মনাম)। স্বামী থাকেন মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে। প্রায় প্রতি বছরই ১৫ দিন থেকে এক মাসের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসতেন তার স্বামী। সর্বশেষ গত পাঁচ মাস আগে দেশে এসেছিলেন তিনি। ২০ দিন থেকে আবারও চলে যান কর্মস্থলে। স্বামী যাওয়ার কিছুদিন পরই আয়েশা বুঝতে পারেন তৃতীয়বারের মতো মা হতে যাচ্ছেন তিনি। খবরটা শুনে ভালোই ছিলেন। কিন্তু তার কয়েকদিন পর থেকে তার শরীরটা খারাপ করতে থাকে। প্রায়ই রাতে হালকা জ্বর আসে।

প্রথম দিকে গুরুত্ব না দিলেও ধীরে ধীরে শরীর বেশি খারাপ হলে দেখা করে পারিবারিক গাইনোলজিস্টের সঙ্গে। তিনি বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। আর পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানান, আয়েশা এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত। তবে চিকিৎসক তাকে আশ্বাস দেন- এইচআইভি পজিটিভ নারী সন্তান নিতে পারবেন না, এমন কোন কথা নেই। তবে এক্ষেত্রে বেশ ঝুঁকি রয়েছে।

এ বিষয়ে গাইনোলজিস্ট ডা. মনোয়ারা হক বলেন, একজন এইচআইভি পজিটিভ নারীও সন্তান নিতে পারবেন। তবে ঝুঁকি রয়েছে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু উপায়ে মা থেকে শিশু আক্রান্ত হতে পারে। যেমন গর্ভাবস্থায় শিশু আক্রান্ত পারে। এছাড়া প্রসব এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ও শিশু আক্রান্ত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এইচআইভি প্লাসেন্টার মাধ্যমে ভ্রুণে যেতে পারে এবং ভ্রুণকে সংক্রমিত করতে পারে।

তিনি বলেন, প্রসবের সময় শিশু মায়ের রক্ত ও অন্যান্য তরলের মাধ্যমেও ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে। এছাড়াও শিশু বুকের দুধ পান করার সময়ও আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য বর্তমানে প্রত্যেক নারীকে সন্তান ধারণের সময় অবশ্যই এইচআইভি টেস্ট করান উচিত।

তিনি আরও বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত নারীদের সন্তান ধারণের সময় এবং এরপর থেকে অবশ্যই বেশি রকমের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আগে থেকে সতর্ক থাকলে ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

ডা. মনোয়ারা বলেন, এ সময় শিশুর সুরক্ষার জন্য অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ চিকিৎসা নিলে শিশুর সংক্রমণের ঝুঁকি এক শতাংশের নিচে নেমে আসে। এছাড়াও যেসব নারী আগে থেকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত এবং সন্তান ধারণের পরিকল্পনা করছেন তাদের অবশ্যই অগ্রীম চিকিৎসকের সঙ্গে অলোচনা করতে হবে।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চললে এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে এইচআইভি আক্রান্ত নারীও সুস্থ থাকেন এবং শরীরে ভাইরাসের পরিমাণ কমে আসে। এছাড়াও এইচআইভিতে আক্রান্ত নারী যদি তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাসস।

সারাবাংলা/এনএস

এইচআইভি এইডস


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর