Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভাষা সৈনিক রেজাউল করিমের মৃত্যু

সারাবাংলা ডেস্ক
২০ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:১৯

ভাষা সৈনিক রেজাউল করিম, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভাষা সৈনিক রেজাউল করিম বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

রেজাউল করিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেযারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা গভীর শোক প্রকাশ করেন। এছাড়াও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস. এম শাহাদাত, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী ও মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন সমন্বয়কারী মো. মহসিন ভুঁইয়া, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন, জাতীয় নারী আন্দোলন সভাপতি মিতা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার এবং শেরে বাংলা গবেষণা পরিষদের মহাসচিব আর কে রিপন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ভাষা সৈনিক মো. রেজাউল করিম ১৯৩৭ সালে ৪ এপ্রিল বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার নারচি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদা মৌলভি রাজিবউদ্দিন তরফদার ছিলেন বৃটিশ পার্লামেন্টের একজন জোরালো কন্ঠস্বর। তিনি একাধারে ৩৩ বছর বঙ্গীয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য (এমএলএ) ছিলেন। রেজাউল করিম ১৯৪৪ সালে নারচী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। ১৯৫০ সালে আজিমপুর ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং এই স্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে ম্যাট্টিক (বর্তমানে এসএসসি) পাশ করেন। ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম নাইট কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৫৯ সালে এসএসসি এবং ৬২ সালে বিএ পাশ করেন।

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ল’কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু দুই বছর অধ্যয়ন করার পরে নানা জটিলতার কারণে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। অদম্য এই ভাষা সৈনিক তার শিক্ষা জীবন থামিয়ে রাখেননি। বর্তমানে আইন বিভাগে পড়াশুনা করছেন ইতোমধ্যে দুটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৫২ সালের আন্দোলনে অংশ নেন তিনি এবং ঐতিহাসিক আমতলা সভায় অংশ নিয়ে ১৪৪ ধারা ভাঙার মিছিলে অংশ নেন। সেখানে পুলিশের কাঁদানি গ্যাস ও লাঠিচার্জের শিকার হয়ে আহত হন। এছাড়াও পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি হরতালের আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন তিনি।

শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি ১৯৬৩ সালে বহুজাতিক কোম্পানি লিভার ব্রাদারস লিমিটেডে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এর কিছু পূর্বে এমএম ইস্পাহানিতে চাকুরিতে ছিলেন। তৎকালীন পাকিস্তান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে (সিআইপি) কর্মরত থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। পরে ১৯৭৩ সালে বদলি বিসিআইসি’র অধীনে ঘোড়াশাল ও আশুগঞ্জ কারখানার ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকুরি করেন। আর সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে ফেন্সুগঞ্জ কারখানার মহাব্যবস্থাপকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

অবসর গ্রহণ করার পরে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ভাষা সৈনিক রেজাউল করিম। শেরে বাংলা পদক, ভাষাসৈনিক ড. জসীমউদ্দিন স্মারক পদক, ভাষাসৈনিক মিলন মেলার ক্রেস্টসহ বহু পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

সারাবাংলা/এনএস

ভাষা সৈনিক রেজাউল করিম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর