Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজস্ব আত্মসাৎ: কাস্টমসের ২ কর্মকর্তা কারাগারে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৪১

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রায় ২৫ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। জাল নথি তৈরি করে আমদানি পণ্য খালাসের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

কারাগারে যাওয়া দু’জন হলেন— চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) (সেকশন-বি) মো. রবিউল ইসলাম মোল্লা এবং (সাব-টিম ৩) রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) নাসিরউদ্দিন মাহমুদ। তবে মামলা দায়েরের পর রবিউল ইসলাম মোল্লা বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। নাসিরউদ্দিন মাহমুদ অবসরে গেছেন।

দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু সারাবাংলাকে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর দুই আসামি উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী দু’জন আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এ ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি দুই আসামি হলেন— নেপচুন ট্রেডিং এজেন্সির মালিক ইকবাল হোসেন মজুমদার ও বনলতা শিপিং এজেন্সির মালিক মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী। তারা পলাতক আছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মেসার্স রয়্যাল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক নজরুল ইসলাম চীন থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আমদানি করেন। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাসের লক্ষ্যে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য তিনি আমদানি সম্পর্কিত কাগজপত্র সিএন্ডএফ এজেন্ট ইকবাল হোসেন মজুমদারের কাছে হস্তান্তর করেন। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই আমদানি চালান নিয়ে জালিয়াতির ঘটনা ঘটে।

সিএন্ডএফ এজেন্ট ইকবাল আমদানিকারক নজরুল ইসলামের সম্মতি ছাড়াই বনলতা শিপিং এজেন্সির কাছে আমদানির সব নথিপত্র হস্তান্তর করেন। বনলতার মালিক মান্নান কাস্টম সার্ভারে বিভিন্ন এইচএস কোড আছে এমন ৪টি ইলেকট্রনিক্স আইটেম ঘোষণার পরিবর্তে চালানটিকে ‘ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টস’স হিসেবে ঘোষণা করেন।

মামলায় আরও বলা হয়েছে, জাল কাগজপত্র তৈরি করে চালানটি খালাস করা হয়। অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে এবং চালানগুলোর কায়িক পরীক্ষা না করে খালাসে সহযোগিতা করেন। পরে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু জব্দের আগেই সেটি খালাস হয়ে যায়।

দুদক তদন্তে ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকার আত্মসাতের তথ্যপ্রমাণ পেয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

কাস্টমসের ২ কর্মকর্তা কারাগারে টপ নিউজ রাজস্ব আত্মসাত


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর