পল্লবীর ওসিসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
২০ জানুয়ারি ২০২২ ২২:২০
ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলামসহ ১৭ পুলিশের বিরুদ্ধে অনধিকার গৃহ প্রবেশ করে ভাঙচুর, চুরির অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলাটির আবেদন করেন মো. পারভেজ আহম্মদ নামে এক ব্যবসায়ী। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আগামী রোববার আদেশের জন্য রেখেছেন। রাতে পারভেজ আহম্মদ নিজেই বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এজাহারে আসামিরা হলেন— পল্লবী থানার সাব-ইন্সপেক্টর কাউসার মাহমুদ, জহির উদ্দিন আহমেদ, নূরে আলম সিদ্দিকী, মো. সজিব খান, মামুন কাজী, মিল্টন দত্ত, মহিদুল ইসলাম, পার্থ মল্লিক, পিন্টু কুমার, মো. শাহরিয়ার নাঈম রোমান, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মো. ফেরদৌস রহমান, এএসআই সোহেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, হরিদাস রায়, মো. আকিজুল ইসলাম এবং সোর্স খোকন।
অভিযোগে বলা হয়— গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় পরিবারসহ বিয়ের দাওয়াতে যান পারভেজ আহম্মদ। রাত সাড়ে ১০ টার পর আসামিরা তার পল্লবীর বাসা ও দোকানের চারিদিকে জড়ো হতে থাকেন। রাত সোয়া ১২ টার দিকে জানতে পারেন ওসি পারভেজ ইসলামের নেতৃত্বে অন্যন্যা আসামিরা তার ঘরের তালা ভেঙে অভিযান পরিচালনা করছে। এরপর রাত ১টায় বাসায় ফিরে পারভেজ আহম্মেদ দেখতে পান, তার বাসার সব ঘর এলোমেলো, ঘরের বিভিন্ন গোপন স্থানে থাকা মূল্যবান শাড়ি, টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় আসামিরা বাসার সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে নিয়ে যায়। পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডে তার ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
পারভেজ আহম্মদ বাসায় না থাকায় তার ভাই দুলারাকে আসামিরা মিথ্যা অভিযোগে ধরে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পল্লবী থানায় মামলা দেয়। পারভেজ আহম্মদ, তার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করে।
মামলাটির অভিযোগে ১৪ জনকে সাক্ষ্য করা হয়েছে। এ ছাড়াও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন মামলার বাদী।
সারাবাংলা/এআই/একে