ইউনিলিভারের সাকসী হান্ডা পেলেন টপ গ্লোবাল এইচআর লিডারের স্বীকৃতি
২০ জানুয়ারি ২০২২ ২১:৩৫
ইউনিলিভার বাংলাদেশের (ইউবিএল) মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক সাকসী হান্ডাকে বাংলাদেশের ‘টপ মোস্ট গ্লোবাল এইচআর লিডার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মানবসম্পদ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস’। নামকরা আরও দুই সংগঠন ‘সিএইচআরও গ্লোবাল’ ও ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব এইচআর প্রফেশনালস’ এই সম্মাননার অনুমোদন দিয়েছে।
ইউনিলিভার থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উদ্দেশ্যচালিত নেতৃত্বের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষত বাংলাদেশে অসাধারণ অবদান রাখায় এবং পেশাজীবনে ঈর্ষণীয় সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবেই সাকসী হান্ডাকে মর্যদাপূর্ণ এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
আগামী মার্চে ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠেয় ৩০তম ‘দ্য ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানে সাকসীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান।
‘দ্য টপ মোস্ট এইচআর লিডারস’ নির্বাচনের উদ্যোগটি মূলত ‘ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস’ আয়োজনেরই একটি অংশ, যা এ বছর ৩০ বছরে পা রেখেছে। এই তালিকায় যেসব এইচআর লিডার ও পেশাজীবী জায়গা করে নিয়েছেন, তারা সবাই অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এবং নৈতিকতা ও পেশাদারী মনোভাব নিয়ে অর্পিত দায়িত্বপালনে দারুণ সক্রিয়।
এ বছর এই পুরস্কারে ভূষিত সাকসী হান্ডা দীর্ঘ কর্মজীবনে বৈচিত্র্যপূর্ণ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ভারত ও বাংলাদেশে ইউনিলিভারের সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রায় ১৫ বছরের। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ইউনিলিভারের টিম পরিচালনার ক্ষেত্রেও দারুণ অবদান রেখে চলেছেন। তার বৈচিত্র্যময় পেশাদার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মধ্যে ব্যবসা ও কৌশল, অধিগ্রহণ ও একত্রীকরণ, ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন, সক্ষমতা ও নেতৃত্ব উন্নয়ন, কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ডিপিএস আরকে পুরাম-এর সাবেক শিক্ষার্থী সাকসী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দ্রপ্রস্থ কলেজ ফর উইম্যান থেকে স্নাতক ও মুম্বাইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোস্যাস সায়েন্স থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সাকসী হান্ডা ইউনিলিভারে কর্মরত মেধাবী তরুণদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তিনি তার মূল্যবোধ, সাহসিকতা, কৌতূহল, পরিচর্যা ও যোগাযোগ দক্ষতায় অনুপ্রেরণাদায়ীর ভূমিকাও পালন করছেন।
সাকসী হান্ডা তার এই স্বীকৃতি সম্পর্কে বলেন, মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারে জন্য আমাকে উপযুক্ত মনে করায় আয়োজক ও জুরি বোর্ডের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ইউনিলিভার বাংলাদেশের হয়ে এই পুরস্কার নেওয়াটা আমার জন্য বিশেষ প্রাপ্তি। একইসঙ্গে এটি মানবসম্পদ উন্নয়নে ইউনিলিভারের দায়বদ্ধতারও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, এই অর্জনের জন্য আমি আন্তরিকভাবে ইউনিলিভারকে ধন্যবাদ দিতে চাই, যেটি সত্যিকার অর্থেই ‘স্কুল অব লিডার’ হিসেবে স্বীকৃত। একইসঙ্গে আমি কৃতজ্ঞ আমার অসাধরণ টিম এবং সহকর্মীদের কাছে, যারা কোম্পানির ব্যবসা, কর্মী ও কমিউনিটিতে বাড়তি মূল্য যুক্ত করতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন এবং আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমি আন্তরিক নেতৃত্বে বিশ্বাসী, যেটি আমার টিমের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মীবান্ধব কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করবে এবং ব্যবসার কৌশলগত অংশীদারিত্ব হিসেবে মানবসম্পদ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
সারাবাংলা/টিআর
ইউনিলিভার ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস টপ মোস্ট গ্লোবাল এইচআর সাকসী হান্ডা