নিরাপত্তা কর্মসূচিতে একসঙ্গে কাজ করবে আইএলও-বিজিএমইএ
২৩ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:১০
ঢাকা: আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য একযোগে কাজ করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। রোববার (২৩ জানুয়ারি) পোশাক শিল্পের কারখানাসমূহের নিরাপত্তা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আইএলও এবং বিজিএমইএর মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।
গুলশানের বিজিএমইএ পিআর অফিসে অনুষ্ঠিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান, আইএলও’র পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান কারিগরী উপদেষ্টা, জর্জ ফলার, বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন এবং আইএলও বাংলাদেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ৫০ বা ততোধিক কর্মচারীসহ সব সংস্থার জন্য শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তাদের পক্ষ থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধির সমন্বয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তা কমিটিগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করা।
বিজিএমইএ’র সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৭৫টি পোশাক কারখানার ৭০০টি নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য, কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি সনাক্তকরণ এবং ঝুঁকি মূল্যায়ন, ভবন নিরাপত্তা সংস্কৃতি, অগ্নি দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা এবং কোভিড-১৯ নির্দেশিকা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নিরাপত্তা কমিটিগুলোর প্রশিক্ষিত সদস্যরা পরবর্তীতে তাদের নিজ নিজ কারখানায় প্রায় ৫০,০০০ কর্মীদের মাঝে একই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জর্জ ফলার বলেন, ‘নিরাপত্তা কমিটিগুলো কারখানায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ তৈরি এবং তা বজায় রাখার জন্য কারখানার ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মকর্তারা এবং কর্মীদের একত্রিত করে। এই কমিটিগুলো সঠিকভাবে দক্ষতাসম্পন্ন হলে এবং কর্মক্ষেত্রে অনেক দুর্ঘটনা এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। তাই, নিরাপত্তা কমিটিগুলোকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করার জন্য আমরা আইএলও এর সাথে এক হয়েছি।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও