১৪ লাখ ইয়াবার মামলায় ট্রলার মালিকের ১৫ বছর কারাদণ্ড
২৩ জানুয়ারি ২০২২ ২০:৫৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ওই নৌযানের মালিককে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত ওই মামলার আরও তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন।
দণ্ডিত রাজিব দাস পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অতিরিক্ত মহানগর পিপি নোমান চৌধুরী।
মামলার নথিপত্রের ভিত্তিতে নোমান চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘এফভি রাজীব’ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে নৌবাহিনীর অ্যান্টি স্মাগলিং সেলের সদস্যরা ১৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেন। ওই সময় নৌযানটি জব্দ করা হয়। জব্দ ইয়াবা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মেট্রো-উপ অঞ্চলের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক চৌধুরী ইমরুল হাসান নগরীর পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ট্রলার মালিক রাজিব দাস, তার ভাই খোকন দাস এবং জাহাঙ্গীর আলম ও মো. সেকান্দার নামে আরও দু’জনসহ মোট চারজনকে আসামি করা হয়।
ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর চার আসামির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত এ রায় দিয়েছেন।
আদালত ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৫ ধারার রাজিব দাসকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই আইনের ২১ ধারায় আরও ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে আদালত উল্লেখ করেছেন। এছাড়া জব্দ ট্রলারটি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম