কপ-এ বিজ্ঞানী, নীতি নির্ধারক ও গণমাধ্যমের দূরত্ব ঘোচাতে হবে
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ০০:৩৪
ঢাকা: প্রতিনিধি দলে বিজ্ঞানী, নীতি নির্ধারক ও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব ঘোচানো গেলে বাংলাদশের জন্য জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ আরও ফলপ্রসূ হতে পারে। বিশেষ করে এই দলে পরিবেশ নিয়ে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে সেটি ভালো ফল বয়ে আনবে।
সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে হয়ে যাওয়া কপ-২৬ সম্মেলনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন পরিবেশবিজ্ঞানী ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এই শিক্ষক জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে পরিবেশ বিটের তরুণ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি পরিবেশ নিয়ে কাজের সুযোগ, সম্ভাবনা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এই পেশায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা কীভাবে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন, তা নিয়ে মুক্ত আলোচনা করেন।
আলোচনায় ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন বিশ্বের সব নেতা ও পরিবেশ সাংবাদিকদের মিলনমেলা। এখানে কেবল নিজ দেশই নয়, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বৈশ্বিক নেতাদের মতামত সরাসরি জানার সুযোগ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে পরিবেশ নিয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের না যাওয়ার কারণে বিভিন্ন সেমিনারের বক্তব্য ঠিকমতো গণমাধ্যমে আসার সুযোগ আমরা হারিয়েছি। জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীরা অনেকেই ভুলভাল প্রশ্নের উত্তর দিতে বিব্রত হয়েছেন।
যারা দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন, তাদের মাধ্যমে আরও অনেক তথ্য আরও বিস্তারিতভাবে উঠে আসার সুযোগ ছিল বলে মনে করেন এই বিজ্ঞানী। তাই তিনি চান, কায়রোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আগামী জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭-এর প্রতিনিধি দলে যেন পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন— এমন গণমাধ্যমকর্মীরা অন্তর্ভুক্ত থাকেন। এতে জলবায়ু বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বোঝার পাশাপাশি বৈশ্বিক অবস্থানও আরও পরিষ্কারভাবে উঠে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রস্তুতি আরও ভালো হলে প্রাপ্তি আরও ভালো হতে পারত বলে মনে করেন ড. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় জলবায়ু পরিস্থিতির শিকার ব্যক্তিদের বক্তব্য আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারছেন। এর সুফল পেতে তাই পুরো বছর সাংবাদিক, বিজ্ঞানী ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে পরিচিতি জোরালো করার জন্য বছরব্যাপী উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/আরএফ/টিআর