স্কুলের অফিস সহায়ক হতে ১৮ লাখ টাকার চুক্তি!
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:৫৪
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়কের চাকরির জন্য ১৮ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে চাকরি প্রার্থী ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পৃথিরাজ চন্দ্র রায়ের মধ্যে। এমনটাই শোনা যাচ্ছে ওই এলাকার বাজারঘাটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য। অন্যদিকে ঘুষ লেনদেনের ক্ষোভে মামলায় করে বসেছেন চাকরির জন্য আবেদন করা এক প্রার্থী।
এ বিষয়ে জেলার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বাদী হয়ে মামলা করেছেন সোহেল রানা নামে এক চাকরি প্রার্থী। তার দাবি, যোগ্য প্রার্থীদের কোনো মূল্যায়ন নেই। শুধু টাকার খেলা। ইতোমধ্যেই প্রধান শিক্ষক দুইজন প্রার্থীর কাছে টাকা নিয়েছেন। একজনের কাছ থেকে ১৮ লাখ, অপরজনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের দৈনিক কাজকর্ম করার নিমিত্তে অফিস সহায়ক পদে একজন এবং আয়া পদে একজন নিয়োগের জন্য ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সে মোতাবেক অফিস সহায়ক পদে ১৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পৃথিরাজ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে গোপনে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সচিন্দ্র নাথ বলেন, তারিকুল নামে এক প্রার্থীর বাবা চাকরি হয়ে গেছে মর্মে ১৮ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তি সম্পাদন করেছেন। ইতোমধ্যেই প্রধান শিক্ষক ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি ওই প্রার্থীর বাবা নিজেই বলেছেন বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা জীতেন্দ্র নাথ বলেন, আরিফুলের বাবা নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে বলেছেন আমার সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের ১৮ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে, এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষকে কম বলতে হবে বলে জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পৃথিরাজ বলেন, এলাকার মানুষ এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য জন্য এটা করছে। আমি শুধুমাত্র কাগজপত্র মেইনটেন্ট করি। কোন লোক এ ধরনের কথা বলেছে তার নামটা বলেন। বুকের পাটা থাকলে সামনে এসে বলুক।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. গোলাপ হোসেন বলেন, আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে বিস্তারিত জেনে বলা যাবে।
সারাবাংলা/এএম