জাতীয় আবৃত্তি উৎসবে চট্টগ্রামেও দুইদিনের কর্মসূচি
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৫৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’ উপলক্ষে চট্টগ্রামে দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকায় এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় উৎসবের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের আয়োজনের বিস্তারিত সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ হাসান। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সকালে এ সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘জন্মের সুবর্ণে জাগো সম্প্রীতির স্বরে, মুক্তির ডাক দেয় পিতা আজও ঘরে ঘরে’ স্লোগানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ।
আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উৎসবের উদ্বোধন করবেন। ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অতিথি হিসেবে থাকবেন। দেশের ৬৪ জেলা থেকে প্রায় ৪ হাজার আবৃত্তিশিল্পী উৎসবে অংশ নেবেন।
একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রামেও দুইদিনের কর্মসূচি থাকছে। প্রথমদিন সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত অনলাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের আবৃত্তিশিল্পীরা যোগ দেবেন। পরদিন শুক্রবার বিকেল ৪টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদভুক্ত চট্টগ্রামের আবৃত্তি সংগঠনগুলো আবৃত্তি পরিবেশন করবে।
রাশেদ হাসান জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উদ্বোধনী আয়োজনে সীমিত পরিসরে প্রতিটি সংগঠন থেকে শুধু একজন যোগ দেবেন। পরদিন শিল্পকলা একাডেমিতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবের আয়োজন করা হবে। ব্যাপক সমাগম এড়াতে সংগঠনগুলোকে পরিবেশনার জন্য সময় ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জাতীয় উৎসবে ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের আবৃত্তি পদক দেওয়া হবে। ২০২০ সালের জন্য গোলাম মুস্তাফা (মরণোত্তর), ২০২১ সালের জন্য সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালের জন্য জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়কে এ পদক প্রদান করা হবে। এরপর প্রতি বছর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এ পদক প্রদান করা হবে। এছাড়াও আবৃত্তি শিল্পের বিকাশ ও অবদানের জন্য ৫০ জন আবৃত্তিকার ও ৫টি প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক প্রদান করা হবে। চট্টগ্রাম থেকে ৩ জন গুণী শিল্পীকে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক প্রদান করা হবে। তারা হলেন— মৃণাল সরকার (মরণোত্তর), রনজিত রক্ষিত (মরণোত্তর) এবং রাশেদ হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশিস রুদ্র, নির্বাহী পরিষদের সদস্য হাসান জাহাঙ্গীর, মাহবুবুর রহমান, মশরুর হোসেন, তাসকিয়াতুন নূর তানিয়া ও সেলিম রেজা সাগর উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস