‘দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগী হবে ভারত’
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৫৫ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:০৫
ঢাকা: দেশের ১২ জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপন এবং দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করবে ভারত।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ভারতীয় হাই কমিশনার দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে এবং আইসিটিসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার ঋণ দিচ্ছে। এর মধ্যে আটটি পার্ক স্থাপনের কাজ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে শুরু হবে।
বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট) নামীয় আরেকটি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ৬টি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, হাইটেক পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে। এখান থেকে আগামী দুই বছরে দুই হাজার ৪০০ জন প্রশিক্ষণ নেবে। ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এক্সটেনডেড রিয়ালিটিসহ অন্যান্য উচ্চতর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও ৩০ জনকে ছয় মাসের জন্য ভারতে আইসিটি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল এডুট্রেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে আরেকটি প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ স্থানে ডিজিটাল এডুট্রেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করবে যেখানে একইসঙ্গে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া স্টার্ট আপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের ৫০টি করে স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত আইটি এক্সিলারেটর (বিআইটিএ)। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে প্রতিটি জেলায় আইটি এক্সিলারেটরও স্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, এখন পর্যন্ত হাই-টেক পার্কসমূহে ১৭৫টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ১৪৮টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইটি ইন্ডাস্ট্রির জনবলের চাহিদার দিক বিবেচনা করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মধ্যমে আইসিটি খাতে দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে ৩৬০০০ জন। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইসিটি খাতে প্রায় ২২০০০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
মতবিনিময় অনু্ষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একেএম