Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নড়াইল-মাগুরা আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তের কাজে নানা অনিয়ম

মির্জা মাহামুদ হোসেন রন্টু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:২৭

নড়াইল: নড়াইল-মাগুরা আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রশস্তকরণে নানা অনিয়মের ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বালি ও ইটের খোয়ার পরিবর্তে রাবিশ ও কাঁচা মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। পুকুর বা ডোবার অংশে দেওয়া হয়নি প্যালাসাইডিং। এরইমধ্যে মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে ট্রাক দেবে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

জেলা সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, ৪৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নড়াইল-মাগুরা আঞ্চলিক মহাসড়কটির নড়াইল অংশে রয়েছে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার, বাকি সাড়ে ৩০ কিলোমিটার অংশ পড়ছে মাগুরা জেলার মধ্যে। ১৮ ফুটের মহাসড়কটি ৩০ ফুট কার্পেটিং ও দুই পাশে ৬ ফুট রাস্তাসহ মোট ৩৬ ফুটে প্রশস্তকরণের জন্য দুইটি প্যাকেজে প্রায় ১৪০ কোটি ব্যায়ে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড, তূর্ণা এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড, নাভারণ ট্রেডার্স জেভি, হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটিডে এবং মেসার্স ইডেন প্রাইজ জেভি কাজ পায়।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে নড়াইলের ধোন্দা, কাগজিপাড়ায় গিয়ে নির্মাণ কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগে বিষয়ে কথা হয় এলাকাবাসীর সঙ্গে। সাংবাদিকদের কোদাল দিয়ে সড়কের বর্ধিত অংশ খুঁড়ে দেখান।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, প্রশস্তকরণ অংশে ঠিকমত বালি-খোয়া দেওয়া হচ্ছে না। কিছু জায়গায় নিম্নমানের খোয়া-বালি (রাবিশ) দিলেও অধিকাংশ জায়গা ভরাট করা করা হয়েছে কাঁচা মাটি দিয়ে। জমির আইলের মতো সরু করে ফেলা হয়েছে দুই পাশের ৬ ফুটের রাস্তা। পুকুর বা ডোবার অংশে দেওয়া হয়নি প্যালাসাইডিং।

স্থানীয়রা বলেন, ‘সড়কের কাজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে। বর্ষাকাল এলে ভারি যানবাহনের চাপে এ রাস্তা টিকবে না। ইতিমধ্যে মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে যানবাহন (ট্রাক) দেবে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।’

বিজ্ঞাপন

‘সি.এস ম্যাপে’ নড়াইল পৌরসভা অংশে সড়কের প্রশস্ততা রয়েছে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ফুট। সীমানা চিহ্ন বা পিলার না থাকায় সড়কের ২৫ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত দখল করেছেন প্রভাবশালীরা। এছাড়া সড়কের মাঝের বৈদুত্যিক খুঁটি অপসারণ না করেই চলছে প্রশস্তকরণের কাজ।

নিরাপদ সড়ক ও রেলপথ বাস্তবায়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খাইরুল আলম বলেন, ‘নড়াইল-মাগুরা আঞ্চলিক মহাসড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম মহাসড়ক। নড়াইল জেলার সঙ্গে মাগুরা জেলাসহ উত্তর অঞ্চলের একমাত্র প্রবেশ পথ। এই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের কাজ মানসম্পন্ন না হলে, ভারী যানবাহনের চাপে সড়কটি টিকবে না। সড়কের মাঝে বৈদুত্যিক খুঁটি রেখে কাজ করলে প্রশস্তকরণের সুফলও মিলবে না। রাস্তা নির্মাণের পরে বৈদুত্যিক খুঁটি অপসারণ করলে রাস্তার মান থাকবে না। দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক বিভাগের নিজস্ব পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও প্রভাবশালীদের দখলে সংকীর্ণ হয়ে গেছে, নড়াইল-মাগুরা আঞ্চলিক মহাসড়কটি, ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এছাড়া সড়ক নির্মাণের আগেই বৈদুত্যিক খুঁটি অপসারণ করলে রাস্তার স্থায়িত্ব বাড়বে এবং অবৈধ দখল উচ্ছেদ করলে সড়ক দুঘর্টনা কমবে।’

নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগটি আমি আমলে নিয়ে আমি আমার টিম দিয়ে এবং আমি নিজে থেকে চেক করব মনিটর করব। টেকনিক্যাল এসপেসিফিকেশান অনুযায়ী গুণগত মান অখুন্ন রেখেই কাজটি শেষ করবেন। এছাড়া জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সীমানা পিলার দেওয়ার নির্দেশনা পেয়েছি।’

সারাবাংলা/এমও

আঞ্চলিক মহাসড়ক নড়াইল-মাগুরা নানা অনিয়ম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর