প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ২২:৪২
নড়াইল: নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় দেশের প্রাচীনতম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৮৫৭ সালে তৎকালীন নড়াইলের জমিদার রাণী ভিক্টোরিয়ার নামে এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে সম্প্রতি ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে গোপনে নিয়োগ দেওয়াসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে গোপনে, জানে না শিক্ষক-কর্মচারী কেউই। আগেই প্রার্থী ঠিক করে গোপন রাখা হয়েছে পত্রিকার বিজ্ঞাপন। অস্থায়ীভাবে চতুর্থ শ্রেণি পদে মো. বাবলু মোল্লা ও অঞ্জনা বিশ্বাস কাজ করলেও অঞ্জনাকে রেখে বাবলুকে গত বছরের এপ্রিল মাসে কোনো কারণ ছাড়াই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
এর আগে ১০ লাখ টাকায় বিনিময়ে গোপনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে সুফল কুমার বিশ্বাসকে। চাকরি পেতে সুফল বিক্রি করেছেন পৈতৃক জমিও। নিজের নিয়োগেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২ জন প্রক্সি প্রার্থী দিয়ে কোরাম পূর্ণ করে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য শিক্ষক উৎপল কুমার ভৌমিকসহ অন্য শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। তারা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য বিষ্ণুপদ ও কার্তিক বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, নতুন নিয়োগের বিষয়ে তাদের কিছুই জানানো হয়নি।
সদর উপজেলার শিক্ষকেরা অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে সদর উপজেলার শিক্ষক সমিতির সধারণ সম্পাদক ছিলেন নিমাই চন্দ্র পাল। সেসময় প্রায় কোটি টাকার ফান্ড লুটপাট করে সমিতিকে ভেঙে দিয়েছেন। রাতের বেলা সমিতি অফিসে বসাতেন জুয়া ও মদের আসর। পুলিশের হাতে কয়েকবার আটক হয়েও ছাড়া পেয়েছেন প্রভাবশালীদের নিয়মিত যাতায়াতের সুবাদে।
অভিযোগ বিষয়ে অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র পাল বলেন, ‘আমার স্কুলে নিয়োগ হয়ে গেছে। এখানে যোগাযোগ করে কোনো লাভ নেই, অন্য প্রতিষ্ঠানে হলে যোগাযোগ করে দেখবো।’
সারাবাংলা/এমও