Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১ ডোজ ভ্যাকসিনও পাননি ষাটোর্ধ্ব ২৮ শতাংশ ব্যক্তি

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১১:৩৫

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণে মৃত্যুঝুঁকি সবচেয়ে বেশি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের। পরিসংখ্যানও বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮ হাজার ২৩৮ জন। এর মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১৫ হাজার ৬৩৯ জন, যা মোট মৃত্যুর ৫৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ কারণেই দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হলে শুরুতেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় ষাটোর্ধ্বদের। তারপরও এই বয়সী ২৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো ভ্যাকসিন পাননি। শুধু তাই নয়, এখনো নিবন্ধনেরই বাইরে রয়ে গেছেন ষাটোর্ধ্ব ১৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী।

বিজ্ঞাপন

দেশে ভ্যাকসিন নিবন্ধন প্ল্যাটফর্ম সুরক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬০ বছরের বেশি বয়সী মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিবন্ধন করেছেন ৮২ দশমিক ০১ শতাংশ। অর্থাৎ এই বয়সী প্রায় ১৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনো ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেননি। অন্যদিকে ষাটোর্ধ্বদের ৭১ দশমিক ৮৬ শতাংশকে ভ্যাকসিনের অন্তত এক ডোজ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ষাটোর্ধ্ব ২৮ দশমিক ১৪ শতাংশ নাগরিক এখনো ভ্যাকসিনের এক ডোজও পাননি।

বিজ্ঞাপন

সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব বলছে, ২০২১ সালে দেশে ষাটোর্ধ্ব নাগরিকের সংখ্যা ১ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ৩৬৯ জন। এই জনগোষ্ঠীর কমপক্ষে ৮০ শতাংশকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার লক্ষ্য নেয় সরকার। তবে পরবর্তী সময়ে সরকারের ভ্যাকসিন প্রয়োগের খসড়া পরিকল্পনায় দেখা গেছে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী এক কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৫৭ জনকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। সে হিসাবে এই বয়সী ৮৭ শতাংশেরও বেশি মানুষকে আনা হবে ভ্যাকসিনের আওতায়। তবে তাদের মধ্যেও ২৮ শতাংশকে এখনো এক ডোজ ভ্যাকসিনের আওতায় এবং ১৮ শতাংশকে নিবন্ধেরই আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।

ভ্যাকসিনের বয়সভিত্তিক নিবন্ধন তথ্য বিশ্লেষণ

২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সুরক্ষা প্লাটফর্মের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন আট কোটি ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৯ জন। সে হিসাবে দেশের ৬৯ দশমিক ১৩ শতাংশ নাগরিক ভ্যাকসিনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন কার্ড বা পাসপোর্টের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন।

নিবন্ধিতদের মধ্যে ১৮ বছর থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার তরুণের সংখ্যা এক কোটি ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪১ জন। ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সসীমায় থাকা নাগরিকদের মধ্যেই নিবন্ধনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি— দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৮ জন। এর পরের ধাপে ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নাগরিকদের এক কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার ২৬০ জন নিবন্ধন করেছেন ভ্যাকসিনের জন্য। আর ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সসীমায় থাকা নাগরিকরা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন এক কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৪ জন। ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের মধ্যে এই সংখ্যা এক কোটি পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৬ জন।

ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের ভ্যাকসিন নিবন্ধন গ্রহণের পরিসংখ্যান

দেশে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন ষাটোর্ধ্ব এক কোটি পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৬ জন, যা এই বয়সীদের টার্গেটেড জনসংখ্যার (এক কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৫৭ জন) ৮২ দশমিক ০২ শতাংশ। সে হিসাবে দেশের প্রায় ১৮ শতাংশ ষাটোর্ধ্ব নাগরিক এখনো ভ্যাকসিন নিবন্ধনের বাইরে রয়ে গেছেন।

এদিকে, দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের মাঝে অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৯২ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৩ জন। অর্থাৎ নিবন্ধিতদের প্রায় ৮৭ দশমিক ৬১ শতাংশ ভ্যাকসিনের অন্তত এক ডোজ নিয়েছেন। আর নিবন্ধন করেও এক ডোজ ভ্যাকসিন নিতে পারেননি এই বয়সী ১২ দশমিক ৩৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী।

তবে টার্গেটেড জনসংখ্যা অর্থাৎ এক কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৫৭ জনের হিসাব বিবেচনায় নিলে এখন পর্যন্ত ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের মধ্যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৭২ শতাংশ নাগরিক। সে হিসাবে ষাটোর্ধ্ব ২৮ শতাংশ নাগরিক ভ্যাকসিনের এক ডোজও পাননি।

অন্যদিকে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের মাঝে দুই ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৬৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯২০ জন। সে হিসাবে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন পাওয়া ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের ৭২ দশমিক ১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন।

অন্যান্য বয়সসীমায় ভ্যাকসিন গ্রহণের পরিসংখ্যান

দেশে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩৪ লাখ ৯২ হাজার ৮৪৭ জন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমায়। অর্থাৎ এই বয়সসীমায় যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের মাঝে প্রায় ৮১ শতাংশ অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদের মধ্যে দুই কোটি চার লাখ ৫৮ হাজার ৪৩৮ জন ভ্যাকসিনের অন্তত এক ডোজ পেয়েছেন, যা এই বয়সী মোট নিবন্ধিত নাগরিকের প্রায় ৮৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এর পরের ধাপে ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে যারা ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের মধ্যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন এক কোটি ৬১ লাখ ৯৭ হাজার ৬২৩ জন। সে হিসাবে এই বয়সী নিবন্ধিতদের ৮৮ দশমিক ৩২ শতাংশই অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন।

এছাড়া অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী এক কোটি ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ১২৮ জন। এই বয়সীদের যারা নিবন্ধন করেছিলেন, তাদের মধ্যে এই সংখ্যা ৮৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের পরিসংখ্যান

২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৮১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৩ জন দ্বিতীয় ডোজের করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এই বয়সী যারা প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের এই হার প্রায় ৬১ শতাংশ।

অন্যদিকে, ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সীদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন এক কোটি ৪১ লাখ ১ হাজার ৬৮০ জন। এই বয়সীদের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া ৬৮ দশমিক ৯৩ শতাংশই দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন।

৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সসীমায় দ্বিতীয় ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পাওয়া নাগরিকের সংখ্যা এক কোটি ১৭ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৮ জন। এই বয়সীদের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া ৭২ দশমিক ৩৫ শতাংশই দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন।

অন্যদিকে দেশে ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী আট লাখ ৩৯ হাজার ৩৫ জন দ্বিতীয় ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এই বয়সীদের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া নাগরিকদের বিপরীতে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়াদের হার ৭২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

ভ্যাকসিনেশনের বর্তমান পরিস্থিতি

দেশে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছে আট কোটি ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার ৪৮৮ জন। এর মধ্যে ৮ কোটি ২৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৮৪ জন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন। পাসপোর্ট দিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১২ লাখ ৯২ হাজার ৬১৪ জন। জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৯০ জন।

অন্যদিকে, দেশে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৯ কোটি ৪০ লাখ ১৫ হাজার ২৯১ জন। নিবন্ধনের তুলনায় ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ— গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় এক কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৭ জন ভ্যাকসিন পেয়েছেন স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে, যাদের তথ্য সুরক্ষায় এখনো ‍যুক্ত হয়নি।

এদিকে, যারা করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন তাদের মধ্যে পাঁচ কোটি ৮৭ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৩ জন পেয়েছেন ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ। অর্থাৎ দেশে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় আছেন তিন কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ৩৮ জন নাগরিক।

এছাড়া, দেশে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনার বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১১ লাখ ২৩ হাজার ৯৩৫ জন। প্রথম দিকে ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তীতে বয়সসীমা কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়েছে।

এর বাইরেও দেশে এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী এক কোটি ৩৪ লাখ ১২ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থীকে করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ২১৬ জন দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনও পেয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের মৃত্যুঝুঁকি কমাতে হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে ফ্রন্টলাইনারদের পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে ষাটোর্ধ্বদের। প্রয়োজনে আলাদা বুথ স্থাপন করে বা আলাদা সেন্টারের মাধ্যমে তাদের ভ্যাকসিন প্রয়োগের আওতায় আনতে হবে। কারণ অপেক্ষাকৃত তরুণদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে ভ্যাকসিন নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না। আর যারা এখনো নিবন্ধনের বাইরে রয়ে গেছেন, তাদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে তালিকা করে তাদের বাসায় গিয়ে হলেও নিবন্ধন ও ভ্যাকসিন প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে করোনায় মৃত্যুহার কমানো কঠিন হয়ে পড়বে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন,  এখন পর্যন্ত যারা নিবন্ধন করেননি তাদের কাছে দ্রুত ভ্যাকসিন পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কারণ দেশে যে সংক্রমণ পরিস্থিতি তাতে দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পরে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি কমে আসছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে আক্রান্ত হলেও তাদের মৃত্যুঝুঁকি কমে আসছে। তাই যত দ্রুতসম্ভব ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমকে মানুষ কেন্দ্রে আসার অপেক্ষায় না থেকে মানুষের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

কর্তৃপক্ষ যা বলছে

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন সারাবাংলাকে বলেন, গণটিকা কার্যক্রমে তরুণদের উপস্থিতি ছিল বেশি। তাই ষাটোর্ধ্বদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুপাত কিছুটা কমেছে। ষাটোর্ধ্বরা ভ্যাকসিন গ্রহণে কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন, এটিও সত্যি। কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যেন তাদের প্রাধান্য দিয়েই সামনের দিনগুলোতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর সারাবাংলাকে বলেন, সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার জন্য। এ কারণে অনেকগুলো ক্যাম্পেইনও করা হয়েছে। তবে যারা এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেননি, তাদেরও ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ নিবন্ধনের বাইরে ভ্যাকসিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর