‘রাজস্ব আহরণ ছাড়াও জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে কাস্টম’
২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:০১
ঢাকা: করোনার বিশ্ব বর্তমান পরিস্থিতিতে কাস্টমস এখন রাজস্ব আহরণ ছাড়াও নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এবার ২৬ জানুয়ারি ১৮৩টি দেশের মতো বাংলাদেশও সদস্য দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালন করছে। এবারের কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য তথ্য সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ।
মুনিম বলেন, ‘বিশ্ব বর্তমান পরিস্থিতিতে কাস্টমস এখন রাজস্ব আহরণ ছাড়াও নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে। গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের মধ্যে ৭৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকা এবং চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রাজস্বের ৪১ হাজার ১৯৪ কোটি কাস্টমস আদায় করেছে। যা গত অর্থ বছরের তুলনায় ২২.৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।’
‘কাস্টম গ্রাজুয়েশন করলে কি কি সমস্যা হতে পারে সেটা আমাদের মাথায় রয়েছে। বাংলাদেশ এবং বাণিজ্যকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেটা আমাদের মাথায় রয়েছে। প্রতিটি সেক্টরে আমাদের কি কি চ্যালেঞ্জ আসবে সেটা মাথায় রয়েছে। এছাড়া উন্নত দেশ হলে বড় একটি চ্যালেঞ্জ আসবে কাস্টমের উপরে। কাস্টমের আয় কমবে। ফলে কাস্টমসের আয় কমলে সেটা আমরা ভ্যাট ও আয়কর থেকে আহরণের চেষ্টা করবো। যতো উন্নত হবো ততো ডুমিস্টিক পণ্য বাড়বে। ফলে ভ্যাট এবং আয়কর থেকে রাজস্ব আহরণের জায়গা তৈরি হবে। আমরা সেই জায়গাটি তৈরি করছি। অপরদিকে যে পরিমাণ মেশিনারিজ এবং এক্সপোর্ট বাড়বে তাতে কাস্টমের আয় হতাশাজনক হবে না’, বলেন এই রাজস্ব কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কাস্টমস ক্ষতিকর সব পণ্য আমদানি এবং রফতানির ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাজ করছে। রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় কাস্টম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কাস্টমের মূল্য লক্ষ্য। এছাড়া নাগরিক জীবনে নিরাপত্তা দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলে যাত্রীদের সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কাস্টম।’
মুনিম আরও বলেন, ‘কাস্টমখাতের উন্নয়নে নতুন নতুন গ্রাজুয়েশন করা হচ্ছে। এসআইকোডা সিস্টেম উন্নত করা হচ্ছে। এটা হলে পণ্য আমদানি পর্যায়ে কিছু সমস্যা রয়েছে সেটা দূর হবে। এছাড়া পণ্য ছাড়করণে যে ঢালাইভাবে অভিযোগ সেটা ঠিক নয়। কোনো অভিযোগ থাকলে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে দিতে হবে। তাহলে সেটা সমাধান সম্ভব।’
সারাবাংলা/এসজে/এমও