স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলারপাড় এলাকায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় আরিফ নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।

এছাড়াও রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ভিকটিমের দুই বান্ধবীসহ তিন জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ে খালাস পাওয়া তিন আসামি হলেন, ভিকটিমের দুই বান্ধবী ফাতেমা আক্তার শান্তা ও আরিফা আক্তার ইতি এবং শান্তার ভাই শিপন।

এদিন চার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজাপ্রাপ্ত আরিফকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মিসেস মাহমুদা আক্তার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ২০১১ সালের ৩১ জুলাই বিকেলে আরিফসহ অপর তিন আসামির সঙ্গে ভিকটিমের কথা কাটাকাটি, তর্ক-বিতর্ক হয়। এরপর গত ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ভিকটিমের পরিবার ইন্টারনেটে ভিকটিমের সঙ্গে আরিফের যৌন সম্পর্কের দৃশ্য দেখতে পায়। পরে পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম জানায়, ৭ জুন সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে তার দুই বান্ধবী তাকে শান্তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে চকলেট খেতে দেয়। চকলেট খাওয়ায় সে অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে এবং তার ঘুম ঘুম ভাব হয়। সকাল ১০ টার দিকে আরিফ শান্তদের বাসায় আসে। তারপর তাকে ধর্ষণ করে। অপর তিন আসামি সেই অশ্লীল ছবি ধারণ করে। পরে হুমকি ধামকি দিয়ে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়।

ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বাবা ২০১১ সালের ৬ আগস্ট চার জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চার জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন যাত্রাবাড়ী থানার সাব-ইন্সপেক্টর মাজহারুল ইসলাম। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সারাবাংলা/এআই/এসএসএ

যাবজ্জীবন