সুবর্ণজয়ন্তীর অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:১৩
ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে। একইসঙ্গে উদ্বোধন করা হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ওয়েবসাইটও। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তী ওয়েবসাইট ও সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
আয়োজকরা জানান, সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরও সহজভাবে ও দ্রুত তুলে ধরতেই এই আয়োজন করা হয়েছে। এর আগেও আইসিটি বিভাগ থেকে সফলভাবে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যেগুলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক গৌরব, ঐতিহ্য ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শন সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতেই এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে এই আয়োজনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিযোগিতায় ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন, দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার পথে অভিযাত্রা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধ, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার, বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, রূপকল্প ২০৪১, স্বাধীনতার শতবর্ষ ২০৭১, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বাংলাদেশের অর্জন এবং সব ধরনের ই-সেবা এসব বিষয়ে নানা প্রশ্ন থাকবে।
২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে। প্রতিযোগীর জন্যে সময় থাকবে যেকোনো ২৬ মিনিট।
মোট তিন ক্যাটাগরিতে এই কুইজ প্রতিযোগিতা হবে। https://bangladesh50.gov.bd সাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। একজন প্রতিযোগী একবারই অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অনুষ্ঠানে এই ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, করোনার কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার কথা ছিল, আমরা সেভাবে তুলে ধরতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা কেবল বর্তমান ঘিরে ছিল না। তিনি ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তা করতেন। তার কন্যাও ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান করেছেন। মানুষ করে ৫ বছরের পরিকল্পনা, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা করেন ১০০ বছরের।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন দাবি করি। কিন্তু কোনো কিছুর সমাধান দেই না। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে সবকিছুর সমাধান দিতেন। একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যাও কোনো সমস্যা বা দাবি থাকলে তার সমাধান বাতলে দেন।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর
সুবর্ণজয়ন্তী প্রতিযোগিতা সুবর্ণজয়ন্তীর ওয়েবসাইট স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী