Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ইসি গঠনে আইন আরেকটি পাতানো নির্বাচনের নীলনকশা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:২২

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে তাড়াহুড়া করে আইন করার উদ্যোগকে আরেকটা পাতানো নির্বাচনের ‘নীলনকশা’ হিসেবে দেখছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি মনে করে- যেহেতু এই সংসদ জনগণের ভোটে বৈধভাবে নির্বাচিত নয়, সেহেতু এই সংসদের কোনো নৈতিক এখতিয়ার নেই এই ধরনের আইন প্রণয়নের। গোপনীয়তার সঙ্গে তাড়াহুড়া করে এই আইন প্রণয়নের প্রচেষ্টা আরেকটি পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার নীলনকশা মাত্র।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি মনে করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনো নির্বাচন কমিশনই অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সফল হবে না যদি না নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা, সাজানো, ভোটারবিহীন ও মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর, সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এক মাত্র পথ। এর কোনো বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি ও জনগণের ঐক্য গড়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘ মিশনে পাঠানো ১২টা শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠনের চিঠির বিষয়টি নিয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার খুন, গুম, বিচার বর্হিভুত হত্যাকান্ডের জন্য র‌্যাবসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এবং এর সূদূর প্রসারী প্রভাব বাংলাদেশের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে স্থায়ী কমিটি মনে করে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টির সকল দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলকারীদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণেই পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে এবং ১০ দিনেও সমস্যার সমাধান হয়নি।’

অবিলম্বে ভাইস চ্যান্সেলরসহ দায়ী কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অযোগ্য, চাটুকার ও দলীয় শিক্ষকদের দায়িত্ব অর্পণের ফলে এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে এবং উচ্চ শিক্ষা মারাত্মকভাবে অবনতির দিকে যাচ্ছে।’

চাঁদপুরের প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দুর্নীতির যেসব সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিষয়ট নিয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অবস্থা জনগনের সামনে তুলে ধরার আহবান জানাচ্ছি।’

স্থায়ী কমিটির সভায় সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার তদন্তের অভিযোগপত্র ৮৫ বার পেছানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর তদন্ত রিপোর্ট দাখিল না করায় সরকারের দুরভিসন্ধি ও ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/একেএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর