নির্মাণের ৫ বছরেই ভেঙে গেল সেতু
২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:২২
সুনামগঞ্জ: জেলার দোয়ারা উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের পুটিপশী-নুরপুর ফেরিঘাট সড়কে নির্মিত সেতু ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিন ইউনিয়নের মানুষ। এ পরিস্থিতিতে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা জানান, গত প্রায় ৮ বছর আগে এই সেতু নির্মাণ করে দেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়। কিন্তু নির্মাণের ৫ বছর পর বন্যার পানির প্রবল বেগে এই সেতুটি ভেঙে স্থান থেকে সরে যায়। এ কারণে মান্নারগাঁও, সুরমা ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ জেলা শহরে আসা-যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
স্থানীয় কলেজ শিক্ষার্থী সুহেল মিয়া বলেন, পুটিপশী গ্রামের এই সেতু ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থী ও রোগীরা আসা-যাওয়া করতে পারে না। তাই সেতুটি দ্রুত নির্মাণের দাবি আমাদের।
পুটিপশী গ্রামের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন দাস, জিতেন্দ্র দাস, গোপেন্দ্র দাস, সুনীল দাস, রবীন্দ্র দাসসহ আরও অনেকে বলেন, সেতুটি নির্মাণ হওয়ার প্রায় ৫ বছর পর গত দুই বছর আগে বন্যার পানির প্রবল বেগে ভেঙে যায়। কিন্তু এখনো নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই সেতু ভেঙে যাওয়ায় মান্নারগাঁও, সুরমা ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে।
মঞ্জু লাল দাস বলেন, পুটিপশী গ্রামের সেতু ভেঙে যাওয়ার পর এলাকাবাসী চাঁদা দিয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছেন। তবুও সব মানুষ এই সাঁকো দিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারে না। যারা চলাচল করেন তারা ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করেন।
দুলন দাস বলেন, ওই সেতু ভেঙে যাওয়ার পর এলাকায় কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ সড়কে রোগী ও বয়স্ক মানুষের চলাচল একেবারে বন্ধ রয়েছে।
অনিল চন্দ্র দাস বলেন, পুটিপশী গ্রামে নির্মিত সেতু খুবই দুর্বল করে নির্মাণ করায় বন্যায় ঢলের পানির স্রোতে ভেঙে যায়। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর এখনো তা নির্মাণ করা হচ্ছে না। সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করার দাবি জানাই।
দোয়ারা বাজারের ঠিকাদার মিলন কান্তি দাস জানান, পুটিপশী গ্রামের কার্লভার্ট সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিল। আমি সাব ঠিকাদার হিসাবে এই সেতু নির্মাণ করেছিলাম।
দোয়ারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ বলেন, আমি কিছুদিন হয় দোয়ারা উপজেলায় এসেছি। ওই সেতুটি সম্ভবত ২০১৩-১৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণ এলাকায় অনেক বড় আকারের খাল রয়েছে। এখন এখানে গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হবে। এই সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস