শেখ হাসিনার অবদানের তথ্য সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান
২৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:০১
ঢাকা: বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতিটি অবদানের তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। দেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে রূপান্তরের জন্যই বঙ্গবন্ধুকন্যার এসব অবদানের তথ্য ছড়িয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির ভার্চুয়াল সভায় ড. সেলিম এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের যেসব নেতা সাংগঠনিক সফরে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যান, যেসব নেতা ও বুদ্ধিজীবী বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশো ও সেমিনার-কনফারেন্সে অংশ নেন, তাদের জন্য তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার নানা উন্নয়ন ও অবদানের তথ্য সম্বলিত খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানান ড. সেলিম মাহমুদ।
তিনি বলেন, দেশ ও জাতির কাছে এসব তথ্য পৌঁছে দিতে হবে। শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই প্রচারণা চালালেই চলবে না, এ দেশের প্রতিটি নাগরিক শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুবিধাভোগী। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা প্রচার করা তাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব।
সেলিম মাহমুদ বলেন, আমি সমালোচকদের বলব— আপনারা গ্রামে গিয়ে দেখে আসুন কেন আওয়ামী লীগ ভোট পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সমর্থন আওয়ামী লীগের পক্ষে দিন দিন বাড়ছে। স্থানীয় নির্বাচন, মেয়র নির্বাচনগুলোতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, কৃষক-শ্রমিকের জন্য রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা কী করেছেন— সে কথা আমরা সবাই জানি। এগুলো প্রচার করতে হবে। যাদের জমি-ঘর কিছুই ছিল না, শেখ হাসিনার সরকার তাদের ঘর, ফ্রিজ, টেলিভিশন, রাইস কুকার, প্রেশার কুকার, ফ্যান সব দিয়েছে।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রতি বাড়িতে বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, স্যানিটারি ল্যাট্রিন, খাদ্য, বিনা পয়সায় পুস্তক, ওষুধ, বৃত্তি, ভাতা, রাস্তা, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন— সবই দিয়েছে। আমাদের কাছে গ্রামের এসব বাড়ির ছবি রয়েছে। এই ছবিগুলোও প্রচার করতে হবে। জনগণের জন্য কাজ করলে জনগণ ভোট দেয়। আওয়ামী লীগ সে কারণেই এত বছর ক্ষমতায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা একমাত্র নেতা যিনি ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেন। তিনি নিজেই তাদের খোঁজ-খবর নেন। শেখ হাসিনার কারণে নিঃস্ব-রিক্ত মানুষ ঠিকানা পেয়েছে। মানুষের জীবন কীভাবে পাল্টে উন্নত করা যায়, এর এক দৃষ্টান্ত তিনি। আমাদের নেত্রী মানুষকে পর্যায়ক্রমে ঘর করে দিচ্ছেন। তিনি বেঁচে থাকলে একজন মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটিই জাতির পিতার ইচ্ছা ছিল।
ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আজ দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের সব অর্জনকে ষড়যন্ত্রকারীরা আজ নস্যাৎ করতে চায়। দেশবিরোধী এই ষড়যন্ত্রের কথা দেশের মানুষকে জানাতে হবে।
সভায় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি এরই মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। আরও নতুন নতুন ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারণা চালাতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুর রহমান, প্রফেসরঅধ্যাপক ড. জাহানারা আরজু, ব্যারিস্টার সৌমিত্র সর্দার, নাজমুল তুহিন, আরিফুল ইসলাম টিপু, মোয়াজ্জেম হোসেন কাওসার, নুরুল ইসলাম মজুমদার, মনিরুজ্জামান শেখ, আবুল ফজল রাজু, রুবাইয়াৎ রাকিব, সিতুল মুনা, আরিফুল ইসলাম টিপু, দিলরুবা ইয়াসমিন, আবু সায়ীদ খান, ড. শবনম জাহান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী পাটোয়ারী, ফাহিম শাহরিয়ার ও সৌরভ সাহা।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর