‘কোনো এজেন্সির অনিয়ম হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা’
২৬ জানুয়ারি ২০২২ ২১:২৫
ঢাকা: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বিগত ৫ বছরে হজে অনিয়মের কারণে চারটি এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল ও ৩৬টি এজেন্সিকে ৪৩ লাখ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ২৪ জুন হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। পরে কোনো এজেন্সির বিরুদ্ধে অনিয়ম উত্থাপিত হলে প্রণীত আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদে এ তথ্য জানান।
মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ‘জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিতে অনিয়মের কারণে কোনো হজ এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিধান না থাকায় অনিয়মের কারণে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত পাঁচ বছরে কোনো হজ এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়নি। তবে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি ১৪৪১ হিজরি সাল অনুযায়ী সর্বশেষ ২০১৯ সালের হজে অনিয়মের কারণে চারটি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৩৬টি হজ এজেন্সিকে মোট ৪৩ লাখ ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো বাংলাদেশের হাজিরা ২০২২ সালের হজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না তা নির্ভর করছে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে রাজকীয় সৌদি সরকারের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তির ওপর।’
তিনি বলেন, ‘দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি হলে, বাংলাদেশ থেকে কতজন হজ পালনের সুযোগ পাবেন, তা জানা যাবে। বাংলাদেশ এই বিষয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। আমরা আশাবাদী এ বছর বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র হজে যেতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম