শেষ ভায়াডাক্টে দৃশ্যমান পুরো মেট্রোরেল
২৭ জানুয়ারি ২০২২ ২১:৪৮ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:০১
ঢাকা: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ ভায়াডাক্ট বসানোর মধ্য দিয়ে ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের উড়াল পথের কাজ শেষ হয়েছে। ভায়াডাক্টের এই অংশের মাধ্যমে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার উড়ালপথ নির্মাণ শেষ হলো। এর ওপরই বসানো হবে রেললাইন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দু’টি পিয়ারের মধ্যে ভায়াডাক্টের শেষ অংশটি বসানো হয়।
এরই মধ্যে উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের অংশের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। ওই অংশে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করছে কয়েক মাস ধরে।
এবার শেষ হলো আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে উড়ালপথের ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ। এখন এই ভায়াডাক্টের ওপরে রেললাইন, বিদ্যুৎ-ব্যবস্থাপনা, স্টেশন নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ শুরু হবে। পুরো কাজ শেষ হলে উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উড়াল রেলপথে চলবে মেট্রোরেল।

প্রেস ক্লাব এলাকায় বসেছে মেট্রোরেলের উত্তরা-মতিঝিল রুটের মেট্রো লাইনের শেষ ভায়াডাক্ট
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। আর দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথে মেট্রোরেল চালুর কথা রয়েছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। অবশ্য এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন বলছে, প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ দশমিক ০৪ শতাংশ। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৯০ দশমিক ০৮ শতাংশ। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণকাজ এগিয়েছে ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত থাকছে ১৬টি স্টেশন। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের ৯টি স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে। বাকি সাতটি স্টেশনের কাজও বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান। এ পর্যন্ত দেশে এসেছে ১০ সেট ট্রেন। প্রতি সেট ট্রেনে ছয়টি করে কোচ রয়েছে।
মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এখন প্রকল্পের কাজে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করা হচ্ছে। ফলে আরও সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়তে পারে।
ফাইল ছবি
সারাবাংলা/এজেড/টিআর