যে কারণে চীনের আগে বিধ্বস্ত বিমানের নাগাল পেতে মরিয়া আমেরিকা
২৮ জানুয়ারি ২০২২ ১২:৪৩
গত ২৪ জানুয়ারি দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত মহড়ার সময় আমেরিকার একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ১০০ মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। অবতরণের সময় গোলযোগে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসনের ডেকে আঘাত করে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এটি। এতে আহত হন ৭ জন। তিন দিন পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করতে পারেনি মার্কিন বাহিনী।
যুদ্ধবিমানটি যাতে চীনের হাতে না পড়ে সে জন্য অত্যন্ত তৎপর যুক্তরাষ্ট্র। চীনও এফ-৩৫সি বিমানটির নাগাল পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন – দক্ষিণ চীন সাগরে আমেরিকার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
কেননা, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এফ-৩৫সি যুদ্ধবিমানটি এ শিল্পের এক বিস্ময়। যুদ্ধবিমানটির কারিগরি নকশাই একটি বড় গোপনীয়তা। এছাড়া এতে রয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর বহু গোপন তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের আগে উদ্ধার করতে পারলে মার্কিন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবে চীন।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানটির নাগাল পেতে চীনারা তৎপর হয়ে উঠেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও এটিকে এখনই উদ্ধার করতে পারছে না। কেননা, মার্কিন উদ্ধারকারী জাহাজ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কমপক্ষে ১০ দিনের দূরত্বে অবস্থান করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা পরামর্শক আবি অস্টেন এ ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজটি বেশ দূরে। এটি পৌঁছানোর আগেই বিমানের ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাবে। তখন বিমানটিকে খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, বিধ্বস্ত বিমানটিকে ফিরে পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এফ-৩৫সি যুদ্ধবিমান মূলত একটি উড়ন্ত কম্পিউটারের মতো। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে অন্যান্য সকল ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়। বিমানবাহিনী এটিকে বলে থাকে— সেন্সর টু শ্যুটার।
তিনি দাবি করেন, চীনের হাতে এমন উন্নত প্রযুক্তি নেই। তাই এ বিমানটি চীনের হাতে পড়লে তাদের বিমানবাহিনীর জন্য বিশাল সুবিধা হবে।
সারাবাংলা/আইই