রোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে: পরিকল্পনা মন্ত্রী
২৮ জানুয়ারি ২০২২ ১২:৪৮
ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান বলেছেন, শহরের তুলনায় গ্রামে অসংক্রামক রোগ বেশি। অসংক্রামক রোগ যেহেতু সংক্রামক রোগের মত চমক সৃষ্টি করতে পারে না, সে কারণে রোগীরা অবহেলিত থেকেই যায়। এখন থেকে এই অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরকারেরও চেষ্টা করা উচিত। রোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
ঢাকার প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান হচ্ছে। ২৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হবে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি)। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
শেষ দিনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল মান্নান বলেন, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ-এগুলো হচ্ছে নীরব ঘাতক। এই সব রোগ হওয়ার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা করতে হবে। শহরের তুলনায় গ্রামে অসংক্রামক রোগ বেশি। বিশেষ করে হাওড় অঞ্চলে আমাশয় রোগ বেশি।
নিজেও আমাশয় রোগে ভোগার কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি যখন হাওরে ছিলাম তখন দেখেছি আশ্বিন কার্তিক মাস আসলেই একটি মানুষও বাকি থাকতো না আমাশয়হীন।
তিনি বলেন, দেশে জরুরি কোনো আঘাত আসলে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতা আমাদের এখনো কম। অন্যান্য দেশে জরুরী কোনো আঘাত আসলে তা রুখতে কোপ ক্যাপাসিটি অনেক ভালো। আমাদের সেই সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামীণ অর্থনীতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে কাজ করছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখান থেকে বিনামূল্যে ৩২ ধরনের ওষুধ ফ্রি দেওয়া হয়। এটা বড় ব্যাপার।
আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে। তবে এই মুহর্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওমিক্রণ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ওমিক্রণ নিয়ন্ত্রণে আসলে এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের রেমিটেন্স থেকে সরকার যে বাড়তি টাকা পায় তা জনগনের কল্যাণে খরচ করতে হবে। রেমিটেন্সের মাধ্যমে যে টাকা আসছে এটা প্রবাসীদের পরিশ্রমের ফল। মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপ আমেরিকায় কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। তাদের পরিশ্রমের ফলে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। যে কারণে তাদের পরিবারের কল্যাণে এই টাকা ব্যয় করতে হবে।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এমএ ফায়েজ, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসদুল আলম, গ্লাসগো ক্যালেডনিয়ান ইউনিভাসিটির ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা.জেমস মিলার, ওজিবিএসএর সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগমসহ অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/এএম