অজুহাত না দেখিয়ে স্কুল খুলে দিন: ইউনিসেফ
২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১১:১২
কোনো প্রকার অজুহাত না দেখিয়ে স্কুল খুলে দিতে বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, স্কুলগুলো পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বিশ্বের প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, এটি যেন শিশুদের পড়াশোনার ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সবধরনের ব্যবস্থা নিতে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।
শিশুদের পড়াশোনার ক্ষতি এড়াতে বেশ কিছু সুপারিশও করেছে ইউনিসেফ। এগুলো হলো—
সশরীরে স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গ্রহণকে পূর্বশর্ত না করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ সাপেক্ষে স্কুলে যাওয়ার শর্ত আরোপ করলে তা শিশুদের শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ বঞ্চিত হওয়া এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ইউনিসেফ শিশু-কিশোরদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ছাড়াই স্কুলগুলো খোলা রাখার এবং কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ কৌশল যাতে পড়াশোনা ও সামাজিক জীবনের অন্যান্য দিকে শিশুদের অংশগ্রহণকে সহজতর করে, তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করে।
স্কুলগুলো পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে ইউনিসেফের সুপারিশে বলা হয়, প্রতিটি শিশুকে স্কুলে ফিরিয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এরমধ্যে প্রতিটি কমিউনিটির প্রান্তিক শিশুদের ওপর বিশেষ লক্ষ্য রেখে কিছু বিষয়ে বিস্তৃত সহায়তা প্রদান করা- যেমন শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ঘাটতি পূরণে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসহায়তা, সুরক্ষা ও অন্যান্য পরিষেবা প্রদান।
শিক্ষকদের ভ্যাকসিন প্রয়োগে গুরুত্বারোপ করে ইউনিসেফ বলছে, স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরই করোনার ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
ইউনিসেফের সুপারিশে আরও বলা হয়, সংকটময় পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। করোনা মহামারি বিশ্বজুড়ে শিক্ষাব্যবস্থায় যে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, তা আমরা স্বীকার করি। তবে এক্ষেত্রে ঝুঁকি খুবই বেশি। শিশুদের স্কুলে রাখার জন্য সম্মিলিতভাবে আমাদের পক্ষে সম্ভব সবকিছু করতে হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। করোনার প্রকোপ আবারও বেড়ে যাওয়ায় ২৩ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
সারাবাংলা/এএম
ইউনিসেফ ওমিক্রন সংক্রমণ করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ জাতিসংঘ টপ নিউজ স্কুল-কলেজ