Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার খেলা মানুষ আর বরদাস্ত করবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:০৮

ঢাকা: বাম জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে ক্ষমতা প্রলম্বিত করার নীল নকশার অংশ হিসাবে সঙ্গোপনে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন প্রনয়ণ ও পাস করানো হয়েছে। এই আইন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে অনুগ্রহপ্রাপ্ত এবং অনুগত ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন। রকিব-হুদা কমিশনের মতো এই ধরনের আর একটি নির্বাচন কমিশন যে কেবল সরকারি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করবে তা কারও না বোঝার কথা নয়।

তিনি বলেন, মানুষের অধিকার হরণ করে প্রশাসনকে ব্যবহার করে যেনতেনভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার এই খেলা মানুষ আর হতে দেবে না। মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার এই কূটকৌশলে এবার আর সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) পল্টন মোড়ে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন আইন বাতিল করে রাজনৈতিক দলগুলো এবং অংশীজনদের মতৈক্যের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন কমিশন আইন, নতুন নির্বাচন কমিশন, সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারসহ রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সরকারকে রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

ওই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য আবদুল্লাহ কাফি রতন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাসদ-মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় নেতা আ ক ম জহিরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা বাচ্চু ভূঁইয়া, বাসদ নেতা জুলফিকার আলি, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা আবদুল আলী ও ওয়ার্কার্স পার্টি-মার্কসবাদীর নেতা বিধান দাস। সমাবেশ পরিচালনা করেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা নজরুল ইসলাম।

বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন আইনের নামে জনগণের চোখে ধুলো দেওয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের ব্যক্তিদেরকে নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠনের ঘোষণা দিতে হবে।

তারা বলেন, জনগণ এবার আর সরকারের অপতৎপরতা বরদাশত করবে না। দলীয় সরকারের অধীনে দেশে অবাধ নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। সে কারণে সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ জনদাবি আদায়ে সকল প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তির রাজপথে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন।

দাবি আদায়ে বাম জোটের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনেরও ঘোষণা দেন তারা। সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরানা পল্টন, জিরো পয়েন্ট ও তোপখানা রোড প্রদক্ষিণ করে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর