সংসদীয় কমিটিগুলোর কার্যক্রমে স্থবিরতা
২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:১৮
ঢাকা: করোনা পরিস্থিতির কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে বসছে সংসদ অধিবেশন। তিন বছরে ১৬টি অধিবেশন বসেছে, যার অধিকাংশই ছিল সংক্ষিপ্ত। সংসদীয় কমিটির কার্যক্রমেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। অধিকাংশ কমিটি বৈঠকের বিষয়ে সংবিধানের নির্দেশনা মানছে না। এর মধ্যে করোনা আতঙ্কে দিন কাটছে সংসদ সদস্যসহ সংসদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বর্তমানে অর্ধশতাধিক মন্ত্রী-এমপিসহ দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত আছেন। করোনাসহ অন্যান্য কারণে তিনবছরে ২২ জন সংসদ সদস্য বিদায় নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী— এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সেই হিসেবে ২৯ জানুয়ারি চলতি সংসদের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে। চলতি সংসদের ১৬টি অধিবেশনের মধ্যে গত বছরের ৬টি অধিবেশনের মেয়াদ ছিল ৪৮ কার্যদিবস। ১৮ জানুয়ারি শুরু হওয়া প্রথম অধিবেশন ১২দিন। এরপর দ্বিতীয় অধিবেশন ৩দিন, তৃতীয় (বাজেট) অধিবেশন ১১দিন, চতুর্থ অধিবেশন ৭দিন, পঞ্চম অধিবেশন ৯দিন এবং সর্বশেষ ষষ্ট অধিবেশন ৫দিন চলেছে। আগের বছরের ৫টি অধিবেশনের মেয়াদ ছিল ৫৩ কার্যদিবস। আর প্রথম বছরের ৫টি অধিবেশন চলে ১০৪ কার্যদিবস।
মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছুর মতো সংসদেও প্রভাব পড়ে। স্থবির হয়ে পড়ে পুরো সংসদীয় কার্যক্রম। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর কার্যক্রম দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকে। অবশ্য বিশেষ ব্যবস্থায় অধিবেশন চালিয়ে সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতা রক্ষা করা হয়েছে। অনেকটা নিয়ম রক্ষার জন্য সংসদীয় কার্যক্রম চলেছে। সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি শুরু হওয়া সংসদের ১৬তম অধিবেশন বিরতি দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা থাকলেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৭ জানুয়ারি অধিবেশন শেষ করা হয়েছে। তবে অধিবেশনের মেয়াদ কম হলেও বিগত বছরে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সংসদে পাস হওয়া সব থেকে আলোচিত বিল হলো নির্বাচন কমিশন গঠন আইন। সর্বশেষ অধিবেশনের সর্বশেষ দিনে গত ২৭ জানুয়ারি প্রায় তিন ঘণ্টার আলোচনা শেষে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সংবিধান নির্দেশিত ওই আইন ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ পাস হয়। এ বছরের আলোচিত আরেকটি বিল ছিল মহাসড়ক বিল-২০২১। এ ছাড়া বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী বিল-২০২১, বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাকটিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল বিল-২০২১, হজ্জ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১সহ ৩২টি বিল পাস হয়েছে।
বিল পাস ছাড়াও গত বছরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে সংসদের ১৫তম অধিবেশনে গত ২৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্মারক বক্তৃতা দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বিশেষ আলোচনার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। ওই প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা ২৪ ও ২৫ নভেম্বর আলোচনায় অংশ নেন। একই অধিবেশনে ইউনেস্কো কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর দ্য ক্রিয়েটিভ ইকোনোমিকস’ প্রবর্তন করায় সংস্থাটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে স্পিকার বলেন, ‘করোনাকালে বিশ্বের অনেক দেশে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়লেও জাতীয় সংসদের কার্যক্রম সচল ছিল। সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী সংসদের অধিবেশন নিয়মিত বসেছে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশনে সকল কার্যক্রম চলেছে। অধিবেশনের মেয়াদ কম হলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা ছিল সংসদীয় কার্যক্রমকে অর্থবহ করে তুলেছে।’ চলমান করোনা সংকট মোকাবিলা করে আগামীতে সংসদ আরো প্রাণবন্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তবে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করলেও সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল ধারক বা কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সংসদ বা আইনসভা। সংসদ যতটুকু কার্যকর, দেশে গণতন্ত্র ততোটুকুই ফলপ্রসূ। কিন্তু আমাদের দেশে গণতন্ত্র ততোটা সুখকর নয়।’
সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা ও সংসদীয় কমিটিগুলোকে কার্যকর করার আহ্বান জানান তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের ১০দিনের মধ্যে ৩৯টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এবং অন্যান্য বিষয়ে ১১টিসহ মোট ৫০টি সংসদীয় কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নিয়ম মেনেই কমিটিগুলোর বৈঠক শুরু হয়। কিন্তু দিন যতো গড়িয়েছে কমিটির প্রতি আগ্রহ কমেছে সংসদ সদস্যদের। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর স্থবির হয়ে পড়ে কমিটিগুলোর কার্যক্রম। গত বছরের শুরুতে নতুন করে বৈঠক শুরু হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে অকার্যকর হয়ে পড়ে ‘মিনি পার্লামেন্ট’ হিসেবে পরিচিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। যে কারণে গত বছরের মে, জুন ও জুলাই এই ৩ মাস কমিটির বৈঠক বন্ধ ছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা থাকলেও তা দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যখাতে অর্থের অপচয়সহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও তা নিয়ে কমিটিতে আলোচনা হয়নি। এই সময়ে করোনা সংকটের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যা আসলেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি নিশ্চুপ ছিল। পেঁয়াজ, আলু, চালসহ নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়লেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির তৎপরতা দেখা যায়নি। আর্থিক খাতে চরম অব্যবস্থাপনায় ভূমিকা দেখা যায়নি অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির।
একমাত্র নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বিধি অনুযায়ী বৈঠকের সংখ্যা পূর্ণ করেছে। এই কমিটি গত তিন বছরে সর্বোচ্চ ৪১টি বৈঠক করেছে। আর সরকারি হিসাব কমিটি সর্বোচ্চ সংখ্যক ৬৩টি বৈঠক করেছে। তবে এই কমিটির একই দিনে তিনটি বৈঠকের বিষয়টি আলোচিত ছিল।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক আটটি কমিটি মোটামুটি সক্রিয় ছিল। বাকি ৩১টি কমিটির বৈঠকের সংখ্যা ছিল শূন্য থেকে ৬-এর মধ্যে। বৈঠকে সদস্যদের উপস্থিতিতেও আগ্রহের অভাব ছিল। এই সময়ে কয়েকটি বৈঠকে কোরাম সংকট দেখা দেয়।
সংসদ সদস্যদের মৃত্যুতে রেকর্ড
চলতি সংসদের রেকর্ড সংখ্যক ২২জন সদস্যের মধ্যে গত বছরে ৭ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৬ নভেম্বর মারা যান টানা চারবারের সংসদ সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের মধ্যে গত বছরের ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ আসনের আসলামুল হক, ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ আসনের আব্দুল মতিন খসরু, ৩০ জুলাই কুমিল্লা-৭ আসনের অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, ২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের হাসিবুর রহমান স্বপন এবং ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী মারা যান।
বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যদের মৃত্যুতে সংসদ ভবনে জানাজার রেওয়াজ থাকলেও করোনাকাল হওয়ায় গত বছরে তা হয়নি। অনেকে সরাসরি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তবে সংসদে শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একের পর এক এমপি মারা যাওয়ায় মৃত্যুতে সারা বছর সংসদে ছিল শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, ‘খুব দুঃখজনক। আসলে আমার জন্য খুব কষ্টকর হচ্ছে বলতে, এভাবে সবাইকে হারানো খুবই দুঃখজনক।’
সংসদ সদস্য আসলামুল হক ও সাবেক আইন মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু’র মৃত্যুতে সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে জীবনটাই হয়ে গেছে এমন, কে যে কখন আছে, কে যে কখন নাই, তার কোনো হিসাবই নেই।’
সংসদ সচিবালয়ের তথ্যানুযায়ী— এর আগে ২০২০ সালে এমপিদের মধ্যে মারা যান সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, হাবিবুর রহমান মোল্লা, আব্দুল মান্নান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও মো. ইসরাফিল আলম। এরআগে চলতি সংসদের প্রথম বছরে ২০১৯ সালে যারা যান বিরোধী দলীয় নেতা এইচ এম এরশাদ, সরকার দলীয় এমপি সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ডা. ইউনুস আলী সরকার, ডা. মোজাম্মেল হোসেন ও আব্দুল মান্নান এবং জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল।
বিশেষজ্ঞ মতামতে উঠেছে চলতি সংসদের কাছে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এই সংসদে যতটুকু প্রত্যাশা করা হয়েছিল, ততটুকুই পাওয়া গেছে। বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা হলেও সরকারি দলের আধিপত্যের কারণে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়নি। সংসদীয় কমিটিগুলো খুববেশী কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। আইন পাস হলেও তা নিয়ে যথাযথ আলোচনা হয়নি।’
কোভিড পরিস্থিতির কারণে যে স্থবিরতা সেটা যৌক্তিক উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কিছু বিষয়ে যথাযথ ভ‚মিকা দেখা যায়নি। যেমন, স্বাস্থ্যখাত নিয়ে দুর্নীতি-অনিয়ম, বিভিন্ন ধরণের জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল। রাজনৈতিক ভাবে, এমনকি সরকারিভাবেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়নি। এমনকি স্বাস্থ্য কমিটি কোন বিশেষ বৈঠকও করেনি। শুধু স্বাস্থ্য নয়, অন্যান্য কমিটিগুলোও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেনি। জনগণের হয়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারেনি।’
এই সংসদে সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটেছে একজন সংসদ সদস্য দেশের বাইরে কুয়েতে জালিয়াতি, মানব পাচার ও অর্থপাচারের কারণে দণ্ডিত হয়েছে। একটি বিশেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তা নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়নি। প্রথমবারের মতো কোনো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বিদেশে মামলা ও শাস্তি হওয়ার মতো সংবেদনশীল বিষয়টি সংসদের যে ধরণের ভূমিকা থাকার প্রত্যাশা ছিল তেমনটি দেখতি পায়নি।
তবে চলতি সংসদের বেশকিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন সংসদ নিয়ে গবেষণা কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আগের সংসদের থেকে সক্রিয়তা দেখা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা আলোচনা তুলেছেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা কম হওয়ায় প্রত্যাশিত ভূমিকা নিতে পারেনি। তবে তাদের প্রয়াস ছিল।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে