ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারের পেয়ারাবাগ এলাকায় সাংবাদিক এমদাদুল হক খানকে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের মামলায় রমনা থানা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি খোরশেদুল আলম ওরফে মাসুদ ও তার সহযোগী ইয়াসিন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রহমত উল্লাহ রনী দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসীর আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে, আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামিকাল রোববার জামিন শুনানির জন্য রেখেছেন।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, এমদাদুল যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন, সেটি খোরশেদুলের স্ত্রীর নামে। এমদাদুল তিন বছরের লিখিত চুক্তিতে সম্প্রতি এ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। গত ২৭ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে খোরশেদুল ও অজ্ঞাত দুই তিনজন এমদাদুলের ফ্ল্যাটের কলবেল বাজান। এ সময় এমদাদুলের স্ত্রীর দরজা খুলে দিলে খোরশেদুল তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন এবং বাসার ভেতরে ঢোকেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমদাদুলকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন খোরশেদুল।
এ সময় এমদাদুলকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রীকেও মারধর করেন এবং তার গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেন। পরে খোরশেদুল তার সহযোগীদের নিয়ে বাড়ির গ্যারেজে থাকা মোটরসাইকলটি ভাঙচুর করেন।