আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর একটি সামরিক আদালত দেশটির ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। তবে ২০১৭ সালে জাতিসংঘের দুইজন বিশেষজ্ঞকে হত্যা করার অপরাধে দীর্ঘ শুনানি শেষে তাদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিলেন আদালত। তবে আসামিদের মধ্যে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন না। খবর আলজাজিরা।
হত্যা মামলার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিচ্ছেন কঙ্গোর আদালত। কিন্তু দেশটি ২০০৩ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যক্ররের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও এমন রায় দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বের কূটনৈতিক ও সাহায্য সংস্থাগুলোকে নাড়া দেওয়ার মতো এ মামলটির ৫০ জনের অধিক আসামির চার বছর ধরে শুনানি পর এই রায় দেওয়া হলো। তবে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা রয়ে গেছে।
জাতিসংঘের নিহত দুই বিশেষজ্ঞ হলেন- সুইডেনের নাগরিক জাইদা কাতালান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল শার্প। ২০১৭ সালের মার্চে দেশটির কাসাই অঞ্চলে সরকারি বাহিনী এবং একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতার তদন্ত করছিলেন তারা। এ সময় কিছু অস্ত্রধারী লোক তাদের রাস্তায় আটক করে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে।
নিখোঁজ হওয়ার ১৬ দিন পর ওই বছরের ২৮ মার্চ একটি গ্রামে তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দেশটির কামুইনা এনসাপু সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করেছিলেন কঙ্গোর কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সাল থেকে দেশটির কাসাই অঞ্চলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় গোষ্ঠী প্রধানকে হত্যা করার কারণে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ওই সংঘর্ষে প্রায় তিন হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছিল এবং কয়েক হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছিল।