গেজেট ‘ক্রটিতে’ কাটছে শুল্ক, আমদানি বন্ধে অ্যান্টিজেন কিট সংকট
৩০ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:০১
ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের জন্য সময় সাশ্রয়ী ও কমমূল্যের পদ্ধতি হলো র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। ২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়। এর দুই মাস পর ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা শুরু করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থল ও বিমানবন্দরসহ হাসপাতালের জরুরি সার্জারি কাজে সহায়তার জন্য এই পদ্ধতির নমুনা পরীক্ষা সরকারি ও বেসরকারিভাবে শুরু হয়। রাজধানীসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকেও এই পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি দেশে এই কিটের সংকট শুরু হয়েছে। আমদানিকারকদের দাবি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গেজেটে থাকা ত্রুটির কারণে তারা কিট আনা বন্ধ রেখেছে। আগে যা এনেছিল সেগুলো শেষ পর্যায়ে। কিন্তু নতুনভাবে শুল্ক দিয়ে তাদের কিট আনার কোনো পরিকল্পনা নেই।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তকরণের সব কিট আমদানির জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখন কার্যকর নেই। আর তাই ব্যবসায়ীরা এই কিট আমদানি বন্ধ করে রেখেছে। তাদের ভাষ্য মতে, সরকারের পক্ষ থেকে ৭০০ টাকা দিয়ে কিট সরবরাহ করার কথা বলা হলেও ৩২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে এনে সেটি সরবরাহ করা সম্ভব নয়। প্রথমে বিমানবন্দরের কাস্টমসে এই কিট আমদানিতে শুল্ক গ্রহণ না করা হলেও ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে সেটি নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রথমদিকে বিষয়টি অবগত না থাকার কথা জানালেও পরবর্তীতে সময়ে জানায়, মূলত গেজেটে থাকা দু’টি বিভাগের শব্দগত ক্রটির কারণে আইনগতভাবে এই শুল্ক গ্রহণ করা হচ্ছে। আর যদি এটি কাটাতে হয় তবে উদ্যোগ নিতে হবে সরকারিভাবেই। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যদি আবেদন করা হয় তবে তা অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ বিষয়ে তাদের কোনো কিছুই জানা নেই। তবে সমস্যা সমাধানে অবশ্যই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয় তিন জনের মাঝে। এরপরেই মূলত আলোচনায় উঠে আসে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় কিট থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রীর আমদানি শুল্ক নিয়ে। তবে খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধানও করে সরকার। পরবর্তী সময়ে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আরটি পিসিআর কিটসহ কোভিড-১৯ সম্পর্কিত আরও বেশকিছু পণ্য আমদানি শুল্কমুক্ত রাখা হয়।
দেশে প্রথমদিকে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা আরটি পিসিআর পদ্ধতিতে করা হলেও পরবর্তী সময়ে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করা হয়। ২০২১ সালে সংক্রমণ বাড়লে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা সরকারিভাবে বিনামূল্যে করার ঘোষণা দেওয়া হয় আগস্ট মাসে। তবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সংক্রমণ বাড়লেও বর্তমানে দেশে দেখা দিয়েছে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষার করানোর কিটের সংকট। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে কিট সংকটের সত্যতা পাওয়া গেছে৷ একইসঙ্গে কিট সরবরাহের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে আমদানি বন্ধ রাখার কথা।
কী বলছেন আমদানিকারকরা?
দেশে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট আমদানি করা একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরু থেকে তারা আমদানি করে এলেও বর্তমানে এই কিট আনা সম্ভব হচ্ছে না। এনবিআরের গেজেটে ২২ জুন পর্যন্ত শুল্কমুক্ত রাখার নির্দেশনা থাকলেও ১৫ ডিসেম্বর থেকে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটে ৩২ শতাংশ ভ্যাট ও শুল্ক নিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর থেকে বিমানবন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটে শুল্ক আরোপ করার পাশাপাশি আগে যেগুলো শুল্কমুক্তভাবে ছাড়া হয়েছিল সেগুলোর জরিমানার টাকা দেওয়ার জন্য চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে এই অ্যান্টিজেন কিট সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এর আগে যেখানে শুল্কমুক্তভাবে আনা গেছে সেখানে হঠাৎ করে কেন শুল্ক আরোপ?- প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের।
দেশে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি জিটেক সল্যুশনস। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের অনুমতি নিয়ে আমরা শুরু থেকেই এই কিট আমদানি করছিলাম। আইইডিসিআর (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান) কর্তৃপক্ষ আমাদের কিটকে ভ্যালিডেট করেছে ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর আমদানি করার জন্য এনওসি দিয়েছে। সেই হিসেবেই আমরা আমদানি করে আসছিলাম। শুরুর দিকে কোনো শুল্ক বা ভ্যাট নেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ পাঁচ লাখ পিস কোভিড-১৯ অ্যান্টিজেন কিট আমদানি করি। বিমানবন্দরে আসার পরে এগুলোকে শুল্কমুক্ত হিসেবে ছাড়া হয়নি। বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, এক কোটি ৫০ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ করা না হলে প্রোডাক্ট ছাড়ানো যাবে না। পরে আমরা সেটা দিয়েই প্রোডাক্ট ছাড়িয়ে আনি। যা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। লাভের টাকা তো পরের হিসেব, উল্টো দেশের সেবা করতে গিয়ে এখন এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ হবে তাই বুঝছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়টি জানিয়ে আমি এনবিআর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে চিঠি দিয়েছি। এনবিআর জানিয়েছে এই শুল্ক প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। অথচ আইইডিসিআর বা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বলছে, কোভিড-১৯ টেস্ট কিট হিসেবে এগুলো শুল্কমুক্ত হওয়ার কথা।’
দেশে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট আমদানি করে থাকে হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সল্যুশনস লিমিটেড নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান। হেলথকেয়ারের বিজনেস কোঅর্ডিনেটর মো. সাদিকুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চার থেকে পাঁচ মাস আগে যে প্রোডাক্ট এনেছি এখন আমাদের কাছে সেগুলোর শুল্ক চাওয়া হচ্ছে। শুল্ক না দিলে আর এই কিট আনা যাবে না এমনটা জানিয়েছে। অথচ শুরু থেকেই বলা হয়েছিল, এটি শুল্কমুক্ত ও ভ্যাট দিতে হবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে আমাদের পুরনো আমদানি করা কিটের জন্যও জরিমানা করছে। এমন অবস্থায় তো আসলে কিট আমদানি সম্ভব না।’
তিনি বলেন, ‘আর যদি শুল্ক ও ভ্যাট দিয়ে এই কিট আনতে হয় তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরবরাহ করা সম্ভব নয়। কারণ ভ্যাট দিয়ে আনলে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে আমাদের ক্রয় মূল্য অনেক বেশি হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি দেশে সংক্রমণ বেড়েছে। এমন অবস্থায় নমুনা পরীক্ষার চাহিদাও বেড়েছে। ইতোমধ্যেই আমার কাছে অনেকে কিট চাইছে। কিন্তু আমি দিতে পারছি না। আমার কাছে যা আছে তা দিয়ে সবাইকে সন্তুষ্ট করা যাবে না। চাহিদা তো আরও অনেক বেশি।’
সাদিকুজ্জামান বলেন, ‘তিন মাস আগে যে পরিমাণ কিট লাগতো এখন তার চেয়ে অনেক বেশি লাগছে। আমি নতুন কিট অর্ডার করিনি। বাজারে অন্যান্য যারা সরবরাহ করছে তাদেরও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় খুব দ্রুতই এই কিটের সংকট দেখা দেবে।’
যা আছে গেজেটে
২০২১ সালের ১৯ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রকাশ করা গেজেটে দেখা যায়, কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার সব কিট যেগুলো ইম্যানুলজিক্যাল রিয়েকশন বেইসড সেগুলোকে শুল্ক মুক্ত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটির এইচএস কোড হিসেবে গেজেটে উল্লেখ করা হয় ৩০০২.১৫.০০ হিসেবে।
তবে একই গেজেটে দেখা যায়, এইচএস কোড ৩৮২২.০০.০০ হিসেবে আছে পলিমারেজ চেইন রিয়েকশন (পিসিআর) নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট বেইসড কোভিড-১৯ টেস্ট কিট। মূলত এই দুইটি কোডের ধারায় কোভিড-১৯ শনাক্তকারী কিট আমদানি করার নির্দেশনা থাকলেও শুধুমাত্র আরটি (রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন) পিসিআর কিটকেই শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানির নির্দেশনা দেওয়া আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে জরুরি নমুনা পরীক্ষার সব কিট শুল্কমুক্ত থাকবে- এমনটাই মৌখিকভাবে আমরা শুনে আসছিলাম। আর তাই আমদানি করা পণ্যের এইচএস কোড যখন প্রতিষ্ঠানগুলো ডিক্লেয়ার করতো তখন সেটাতে চেকের কোনো দরকার ছিল না। কিন্তু যখন গেজেট ফলো করা হয় তখন সেখানে দেখা যায় ৩০০২.১৫.০০ ও ৩৮২২.০০.০০ কোডের মাঝে ফারাক আছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে থাকে যেমন অ্যান্টিবডি কিট যদি কেউ আনতে চান তবে সেটার এইচএস কোড হবে ৩০০২.১৫.০০। আবার অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের এইচএস কোড হবে ৩৮২২.০০.০০। যেহেতু র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট পদ্ধতিতে আরটি শব্দ লেখা নেই তাই সেটা শুল্কমুক্ত আমদানির সুযোগ পাবে না। এক্ষেত্রে যদি র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের আগে আরটি যোগ করা হয় তবে সেটা শুল্কমুক্ত থাকবে। কিন্তু সেটা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই আরটি’র ক্যাটাগরিতে যদি র্যাপিড অ্যান্টিজেনকে রাখা হয় সেক্ষেত্রে আবার তা শুল্কমুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাস্টমস ম্যাজিস্ট্রেটদের যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয় তার বাইরে কিছুই করার সুযোগ নেই। তবে যেহেতু এর সঙ্গে সংক্রমণ পরিস্থিতি ও দেশের স্বার্থ জড়িত তাই সব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এটা নিয়ে আলোচনা করলেই সমাধান হয়ে যাবে। আর সেই ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা ফের চালু হবে।’
কর্তৃপক্ষ যা বলছে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘যদি কোনো প্রোডাক্টকে ডিউটি ফ্রি রাখা হয় তবে সেটাতে কোনো কর্মকর্তা জোর করলেও আদায় করতে পারবে না। পুরো ব্যাপারটা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখব।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেককে এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে তা জানা প্রয়োজন। যদি সমস্যা থাকে তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হবে। কারণ এই মুহূর্তে আমরা নমুনা পরীক্ষায় জোর দিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ জুলাই নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার সুযোগ প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও ঔষধ প্রশাসনকে অ্যান্টিজেন নির্ভর পরীক্ষার অনুমতির জন্য পরামর্শ দেয়। ১৭ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ডা. বিলকিস বেগমের সই এক চিঠিতে এ অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, অতি স্বল্প সময়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য সারাদেশে অ্যান্টিজেন টেস্টের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের প্রস্তাবনা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১১ সেপ্টেম্বরের ‘ইনটারিম গাইডেন্স’ অনুসরণপূর্বক দেশের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, সরকারি পিসিআর ল্যাব এবং সব স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে অ্যান্টিজেনভিত্তিক টেস্ট চালুর অনুমতি নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।
২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর অনুমতি দেওয়া হলেও এই পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয় ৫ ডিসেম্বর থেকে। প্রথমে ১০টি জেলায় শুরু করা হলেও ২০২১ সালে সরকারিভাবে অন্যান্য স্থানে ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও নমুনা পরীক্ষা শুরু হয় এই পদ্ধতিতে। ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের বুথেও অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়।
১৮ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি ৭৮টি প্রতিষ্ঠানে করোনা শনাক্তে অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি দেয় সরকার। অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি পাওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব স্থানে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার নমুনা পরীক্ষার ফি সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা। তবে বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা নিতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নমুনা নেওয়া হলে সেক্ষেত্রেও অতিরিক্ত চার্জ ৫০০ টাকাই নিতে হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম