করোনায় স্কুল বন্ধ, সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন অভিভাবকরা!
৩০ জানুয়ারি ২০২২ ২২:১১
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই ‘সুযোগে’ সন্তানদের নিয়ে অভিভাবকরা ঘুরতে বের হচ্ছেন উল্লেখ করে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও যারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কক্সবাজার বা মেলায় ঘুরছেন, তাদের প্রতিও ক্ষোভ জানান তিনি।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ক্ষোভের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দেশে করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ মালেক বলেন, স্কুল বন্ধ। কিন্তু অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন। এটা দুঃখজনক। আমরা কক্সবাজার যাচ্ছি, মেলায় যাচ্ছি। একদিকে অর্ধেক লোকবল দিয়ে দফতর চালাচ্ছি, অন্যদিকে বাইরে ঘোরাঘুরি করছি। ঢাকার বাইরে চলে যাচ্ছি। এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুন- ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর’
ভ্যাকসিন কার্যক্রম বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন ৯ কোটি ভ্যাকসিন স্টকে আছে। প্রায় ১৬ কোটি দিয়ে ফেলেছি। অর্থাৎ প্রায় ২৬ কোটি ভ্যাকসিন পেয়েছি। আরও পাঁচ কোটি আসবে। এই মুহূর্তে বাড়তি ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, সিনোফার্মের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে আমাদের বেসরকারি একটি কোম্পানির। আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুত আছি। যখনই বলব ভ্যাকসিন লাগবে, তখনই তারা কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। তবে এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই বলে সেদিকে জোর দিচ্ছি না।
আরও পড়ুন- ‘সবাই পরীক্ষা করে না, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি’
সরকারিভাবে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দিতে এখন মানুষ কম আসছে। কিন্তু আমাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা ওয়ার্ড পর্যন্ত আছে। সেই হারে মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না।
বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষদের ভ্যাকসিন প্রয়োগের আওতায় আনার কাজ চলছে জানিয়ে জাহিদা মালেক বলেন, আমাদের বিভিন্ন সমিতি যারা আছে, যেমন— বাস মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি— তাদের লোকেরা অনেকেই ভ্যাকসিন নেয়নি। তাদের ভ্যাকসিন নিতে যেন বাধ্য করা হয়, এজন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। ফেডারেশন অব কমার্স, চেম্বার ইন্ডাস্ট্রি— তাদেরও চিঠি দেবো।
আরও পড়ুন- ‘জনসনের ভ্যাকসিন পাবে ভ্রাম্যমাণ মানুষেরা’
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
করোনা সংক্রমণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক