Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামি আদালতে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৩৪

ঢাকা: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার মামলার রায় ঘোষণার আগেই কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ অভিযুক্ত ১৫ আসামিকে।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাদের হাজির করা হয়।

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই কক্সবাজার জেলা ও দায়রা আদালত প্রাঙ্গণে কড়া উপস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। দুপুরে আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালতের প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কাজে বাধা এবং মাদক আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ। আসামি করা হয় সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাত এবং শিপ্রা দেবনাথকে। এতে সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন। আসামি করেন ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে। আদালতের নির্দেশে তদন্তভার পায় র‌্যাব। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দিয়ে তদন্ত দল বলে, সিনহা হত্যাকাণ্ড একটি পরিকল্পিত ঘটনা।

৩১ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে এবং পুলিশের দায়েরকৃত তিনটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাইদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথকে অব্যাহতি দেন। মামলায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ১২ অভিযুক্ত। ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপের ফাঁসিসহ সব আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়েছেন নির্যাতিত শত শত পরিবারের সদস্যরা।

এ সময় তারা ‘খুনি প্রদীপের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’, ‘মেজর সিনহার খুনি প্রদীপের ফাঁসি চাই’, ‘২০০ মানুষ হত্যাকারীর প্রদীপের ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে টেকনাফের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিন সোমবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা আদালতের প্রবেশপথের পাশে দুটি ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ান ৩০ থেকে ৪০ জন; যারা কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ও হয়রানির শিকার পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

‘সর্বস্তরের জনগণ টেকনাফ’, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি— কক্সবাজার জেলা শাখার ব্যানারে ওই মানববন্ধনে দাঁড়ানো কারও কারও হাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতদের ছবিও দেখা গেছে।

‘ওসি প্রদীপের ফাঁসি চাই’ স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি তারা সিনহা হত্যার ন্যায়বিচার দাবি করছিলেন।

মানববন্ধনে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা বলেন, ‘ওসি প্রদীপের ইয়াবা কারবারসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে ছয়টি মিথ্যা মামলা করা হয়।’

এ ছাড়া ওসি প্রদীপ তাকে ঢাকা থেকে আটক করে থানায় এনে চরম নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলায় প্রায় একবছর জেল খাটতে বাধ্য করে। ওসি প্রদীপসহ এ মামলার সব আসামির ফাঁসির দাবি করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে মেজর সিনহা হত্যা মামলার রায়ের কার্যক্রম শুরুর কথা রয়েছে।

সারাবাংলা/একে

ওসি প্রদীপ কক্সবাজার টপ নিউজ মেজর সিনহা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর