‘নগদ’ উদ্যোক্তা হবেন অবসরপ্রাপ্ত ডাক পিয়নরা

বাংলাদেশ ডাক অধিদফতরের অধীন সব পোস্টম্যান বা ডাকপিয়ন এখন থেকে অবসর নেওয়ার পর চাইলেই ‘নগদ’-এর উদ্যোক্তা হতে পারবেন। ডাক পিয়নদের উদ্যোক্তা হওয়ার এ যাত্রায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।

নগদ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডাক পিয়নদের অবসর গ্রহণের পর নিশ্চিত একটি আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার লক্ষ্যেই এমন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ‘নগদ’। অবসরপ্রাপ্ত ডাক পিয়নদের বাড়তি আয়ের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তারা নিশ্চিত করতে পারবেন ‘নগদ’-এর সাশ্রয়ী সব সেবা।

এই কার্যক্রমের আওতায় ‘নগদ’ শহরের পাশাপাশি গ্রামগঞ্জে অবস্থানরত অবসরে যাওয়া ডাক পিয়নদেরও সব ধরনের সহায়তা দেবে। সেক্ষেত্রে উদ্যোক্তাকে তাদের নিজ এলাকায় অবস্থিত ডাকঘরে সেবাটি চালু করতে হবে। উদ্যোক্তা হতে সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে ‘নগদ’ বরাবর। নতুন এই উদ্যোক্তাদের ব্র্যান্ডিং থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত দিকসহ সার্বিক সহযোগিতা দেবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।

অবসরপ্রাপ্ত ডাক পিয়নদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি। তাতে লিখেছেন, ডাক বিভাগের নেটওয়ার্কটি একক সংস্থা হিসেবে সরকারের সবচেয়ে বড় ও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। ১০ সহস্রাধিক লোক এখানে কাজ করে। এই মানবসম্পদকে কেন্দ্র করে ‘নগদ’ জনগণের জন্য ডিজিটাল সেবায় আরও নিবেদিত হবে। এমনকি অবসরপ্রাপ্তরা এ থেকে তাদের ভালো সময় কাটানো এবং বাড়তি আয়ের সুযোগও পাবেন।

নতুন এই উদ্যোগ বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘নগদ’-এর সেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দিনবদল করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ডাক বিভাগ থেকে অবসর নেওয়া ডাক পিয়নরা ‘নগদ’-এর উদ্যোক্তা হয়ে আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রান্ত পর্যন্ত সেবা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে এক দিকে অবসরের পরেও তারা কাজের মধ্যে থাকতে পারবেন, আবার নিজেদের জন্য বাড়তি আয়ও নিশ্চিত হবে।

সর্বনিম্ন খরচে ও সহজ সেবা দেওয়ার কারণে ‘নগদ’ উদ্যোক্তরা সারাদেশে এই ব্যবসায় নিজেদের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি ‘নগদ’-এর উদ্ভাবনী সব সেবার ফলে উদ্যোক্তারা যেমন স্বনির্ভর হয়েছেন, তেমনি প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন আরও অনেক উদ্যোক্তা। বিশেষ করে ‘নগদ’-এর কম খরচে লেনদেনের কারণে খুব অল্প সময়ে মানুষের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সেবাটি। ফলে ‘নগদ’-এর উদ্যোক্তারা স্বনির্ভর হওয়ার মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের ভাগ্য পরিবর্ত করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে ‘নগদ’-এর উদ্যোক্তা সংখ্যা ২ লাখ ৪২ হাজার।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে ৯ হাজার ৮৮৬টি ডাকঘর আছে, যেখানে কাজ করছেন প্রায় সমসংখ্যক ডাক পিয়ন। প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডাক পিয়ন অবসরে যাচ্ছেন এবং অবসরের পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের আর কোনো কাজ থাকে না। কিন্তু এখন চাইলেই তারা সংশ্লিষ্ট ডাক বিভাগের মাধ্যমে ‘নগদ’ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবেন।

সারাবাংলা/টিআর

ডাক পিয়ন নগদ নগদ উদ্যোক্তা