Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৫ম ও ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন: জানুয়ারিতে ২৯ প্রাণহানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২২ ২২:৩৮

বগুড়ায় ভোট শেষে ব্যালট বাক্স কেন্দ্র থেকে নেওয়াকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ৪ জন নিহত হন

ঢাকা: ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপে ১০৯ টি নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনায় ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব সহিংসতায় আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোটের দিনেই প্রাণ হারান কমপক্ষে ১২ জন।

এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চার ধাপের ইউপি নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় আরও ৯২ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন চার হাজারেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে ছয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মোট প্রাণহানি ঘটল ১২১ জনের।

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং নিজেদের সংগৃহীত উপাত্তের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিতসহ নিজেদের সংগৃহীত এসব তথ্যের বরাতে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) জানুয়ারি মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে ইউপি নির্বাচন ঘিরে সহিংসতায় নিহত ২৯ জনের মধ্যে এক জন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং চার জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে মারা গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাত জন নিহত হয়েছেন বগুড়া জেলায়। এছাড়া ঝিনাইদহ জেলায় পাঁচ জন, চাঁদপুর জেলায় তিন জন এবং নরসিংদীতে দুই জন মারা গেছেন।

এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর একটি কেন্দ্রে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা নিয়ে দায়িত্বশীলরা গড়িমসি করায় বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা কেন্দ্র ভাঙচুর করেন এবং বিজিবি, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজিবি গুলি চালালে চার জন মারা যান।

বিজ্ঞাপন

একই দিন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় ভোটকেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার দৃশ্য দেখে সুমেলা খাতুন (৫০) নামে এক নারী স্ট্রোক করে মারা যান।

১২ জানুয়ারি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে নবনির্বাচিত এক ইউপি সদস্যের (মেম্বার) পৈশাচিক নির্যাতনে মারা গেছেন আনোয়ারুল ইসলাম (৩০) নামে এক তরুণ। তার এক হাতের সব নখ প্লায়ার্স দিয়ে তুলে ফেলা হয়, কেটে ফেলা হয় বৃদ্ধাঙ্গুল।

এমএসএফ মনে করে, ইউপি নির্বাচনে সংঘর্ষের পাশপাশি সরকারি ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের সমর্থকদের হামলার ঘটনা ছিল অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত এবং শিষ্টাচর বহির্ভূত। দুর্বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, পদবাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্য গোটা রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়িত করে তুলেছে। ফলে সারাদেশে উপজেলা ও ইউপি নির্বাচনে যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের সহিংসতা সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

এমএসএফ আরও বলছে, নির্বাচনের ফলকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা ও আধিপত্যের লড়াই হয়েছে মনোনয়ন প্রার্থী ও বঞ্চিতদের মধ্যে, যারা সরকার দলীয় নেতাকর্মী। ফলে প্রাণনাশের ঘটনা সামাল দিতে কারও কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। সরকারদলীয় রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা খুব একটা দেখা যায়নি।

এ ধরনের ঘটনার প্রতিকারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি উল্লেখ করে এমএসএফ বলছে, পাঁচ দফা নির্বাচনে প্রার্থীসহ যেসব মানুষ মারা গেলেন, এর দায় কোনোভাবে নির্বাচন কমিশন এড়াতে পারে না। একইভাবে দায় এড়াতে পারেন না ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও।

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর

ইউপি নির্বাচন নির্বাচনি সহিংসতা নির্বাচনে প্রাণহানি

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর