ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ
৩১ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:৪৩
ঢাকা: শিক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সিন্ডিকেট সভায় তাকে ইমেরিটাস অধ্যাপক মনোনীত করা হয়। পরে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য। এবার তার নামের সঙ্গে নতুন যোগ হল ইমিরেটাস অধ্যাপক।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সম্মাননা পাওয়ার পরে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাকে এভাবে সম্মানিত করার জন্য এবং (আমার ওপর) আস্থা রাখার জন্য আমি খুশি। আমার নামের পাশে ইমেরিটাস অধ্যাপক যুক্ত করার জন্য বিএসএমএমইউ ভিসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’
উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষায় অধ্যাপনা পেশায় এটি একটি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পদ বা পদবী ইমিরেটাস অধ্যাপক। অবসরপ্রাপ্ত স্বনামধন্য অধ্যাপকের জীবদ্দশায় শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদান এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মানজনক পদ বা পদবী দেওয়া হয়।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বর্তমানে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রধান চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ চিকিৎসাখাতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৬ সালে একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। করোনাকালে জনসচেতনতার স্বীকৃতি ‘কোভিড হিরো’ পুরস্কার পান। তিনি ‘শর্ট কেইস অব ক্লিনিক্যাল মেডিসিন’ বইয়ের জন্য ২০১৩ সালে ইউজিসি পুরস্কার পান। বাংলা একাডেমি থেকেও তাকে অনারি ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার হালিয়াবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ, এরপর শৈশব-কৈশোর সেখানেই কাটিয়েছেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
ঢাকা মেডিকেল থেকে ১৯৭৮ সালে এমবিবিএস পাস করেন এবিএম আব্দুল্লাহ। এরপর গ্রামে কিছুদিন কাজ করে সহকারী রেজিস্ট্রার পদে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। এখানেই তার কর্মজীবনের শুরু। প্রায় চার বছর চাকরির পরে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ আসে। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হয়েছেন। ১৯৮৯ সালে যুক্তরাজ্যে গিয়ে তিনি ব্রিটেনে মেডিসিনের সব থেকে বড় ডিগ্রি সিপি অর্জন করেন। ১৯৯২ সালে রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান থেকে এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯২ সালে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে মেডিসিন কনসালট্যান্ট হওয়ার সুযোগ পান। সেখানে দুই বছর কাটান। এরপর ১৯৯৫ সালে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী অধ্যাপক পদে তৎকালীন পিজি (বর্তমানে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) হাসপাতালে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে এর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি অধ্যাপক হন। পর পর তিনবার বিএসএমএমইউতে নির্বাচিত ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম